বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার ঘিরে দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে সম্পর্কের উষ্ণতা খানিকটা কমেছে। সম্পর্কে টানাপোড়েনের এই পরিস্থিতিতে সোমবার, ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখতে চলেছেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্ত্রী। এদিকে, জয়শংকরের মন্ত্রকের কূটনীতিবিদের ঢাকায় পা রাখার আগেই খানিকটা পিচ প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ইউনুস সরকার। দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে ইউনুস সরকারের বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ তৌহিদ হোসেন মুখ খোলেন।
সার্কের ৪০ তম সনদ দিবস উপলক্ষ্যে, রবিবার ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন সেদেশের ইউনুস সরকারের বিদেশমন্ত্রকের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। ‘সার্ক জার্নালিস্ট ফোরাম’, বাংলাদেশ নামে এক সাংগঠনিক সার্ক বিষয়ক সেমিনারের আয়োজনে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেন তৌহিদ হোসেন। তৌহিদ হোসেন বলেন,'আমি সব সময় বলে এসেছি যে, কোনও সমস্যার সমাধান করতে হলে, স্বীকার করতে হবে যে সমস্যাটা আছে।' এরপরই তিনি বলেন,' এবং আমাদের একইভাবে এটাও স্বীকার করতে হবে যে, ৫ অগস্টের আগে ও পরে সম্পর্কের নিশ্চয়ই একটা গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। এটা মেনে নিয়ে আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। পররাষ্ট্র বৈঠক শুরুর বিষয়ে আমি প্রস্তাব করেছিলাম।'
ভারত ও পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি নিয়ে মন্তব্য:-
রাত পোহালেই ঢাকায় একদিনের সফরে যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্ত্রী। তাঁর আসার আগে ভারত ও বাংলাদেশের বাণিজ্য নিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন,'এই যে দুই তিন মাস যাবৎ যে মন্দা যাচ্ছে, সেটা কি শুধু বাংলাদেশকে প্রভাবিত করছে? শুধু বাংলাদেশকে এটা প্রভাবিত করছে না। এত বড় অর্থনীতির দেশ ভারতের ওপরও এর প্রভাব পড়ছে। পরিমাণটা হয়তো ততটা বেশি নয়।' তিনি এদিন ভারত ও পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি নিয়েও মন্তব্য করেন। তৌহিদ হোসেন বলেন,'বর্তমান পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিও বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।… অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যোগাযোগ ও পারস্পরিক দেখা সাক্ষাৎ।'
ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সফর নিয়ে মত:-
ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্ত্রীর বাংলাদেশ সফর নিয়েও মুখ খোলেন তৌহিদ হোসেন। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামিকাল এখানে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব আসছেন। পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠকটি নিয়মিত বিষয়। অস্বাভাবিক কিছু নয়। আমি আশা করব যে তাঁরা ফলপ্রসূ আলোচনা করবেন।’