গত ২০২০ সালে বেজিংয়ে সর্বনিম্ন জন্মহার। এমনটাই জানাল চিনের সরকারি তথ্য। চিনা বিশেষজ্ঞদের দাবি এইভাবে চলতে থাকলে, আগামী ২০২২ সালের মধ্যে কমতে শুরু করবে বেজিংয়ের জনসংখ্যা। একইভাবে ২০২৭ সাল নাগাদ চিনের জনসংখ্যাও নিম্নমুখী হয়ে যাবে।
বেজিংয়ে গত বছর ১,০০,৩৬৮ জন শিশু জন্মেছে। তার আগের বছর এর তুলনায় প্রায় ৩২ হাজার বেশি শিশু জন্ম নেয়। গবেষকদের দাবি, এই হারে কমতে থাকলে ২০২২ সালেই হ্রাস পেতে শুরু করবে শহরের জনসংখ্যা।
শুধু বেজিংই নয়। পূর্ব চিনের ঝেজিয়াং, দক্ষিণ চিনের গুয়াংডং প্রদেশেও রেকর্ড হারে কমেছে নবজাতকের সংখ্যা। এর ফলে সমগ্র চিনেই জন্মহার নীতির ফল প্রকট হয়েছে।
সম্প্রতি চিনের জনসংখ্যা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে সেদেশের বিশেষজ্ঞরাও। খুব শীঘ্রই বছরে এক কোটিরও কম শিশু জন্মাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁরা। বিশেষজ্ঞ ডং ইউঝেং জানান, চিন বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনবহুল দেশ। কিন্তু কঠোর জন্মনিয়ন্ত্রণ আইনের প্রভাবে শীঘ্রই তা বদলে যেতে পারে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দ্রুত কমবে চিনের জনসংখ্যা।
চিনা বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট অনুযায়ী, জনসংখ্যা কমার ভালো দিকের সঙ্গে রয়েছে খারাপ দিকও। চিনের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তিই এই বিপুল জনসংখ্যা। সস্তায় প্রচুর কর্মীর চাহিদা মেটাতে চিনে হাজির হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উত্পাদনকারী সংস্থা। হঠাত্ জনসংখ্যা অনেক হ্রাস পেলে তার প্রভাব পড়তে পারে অর্থনীতিতে।
জনসংখ্যার বিস্ফোরণ ঠেকাতে ১৯৭৯ সালে এক সন্তান নীতি চালু করে চিন৷ গত ২০১৬ সালে দুই সন্তানের অনুমতি দেওয়া হয়৷ তবে, বর্তমানে চিনা গবেষকদের মতে, এই নীতিতে পরিবর্তন প্রয়োজন। তিন সন্তানের নীতি আনার সুপারিশ করেছেন তাঁরা। আর তা না হলে ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পেরে ওঠা যাবে না বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা।