তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকে পড়া মার্কিন যুদ্ধ জাহাজকে অনুসরণ করল চিন। এদিকে এর আগেই প্রেসিডেন্ট জিনপিং মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে দাবি করেছিলেন তাওয়ানের স্বাধীনতার নাম করে আগুন নিয়ে খেলবেন না। এবার এসবের মধ্যেই সেই তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের আনাগোনাকে একেবারেই ভালো চোখে দেখছে না চিন। তবে আমেরিকার তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, মিসাইল ধ্বংসকারী যুদ্ধ জাহাজের এই আনাগোনা একেবারেই রুটিন পদক্ষেপ। আন্তর্জাতিক আইন মেনেই আন্তর্জাতিক জলসীমা ধরেই ওই যুদ্ধ জাহাজ গিয়েছে বলে আমেরিকার তরফে দাবি করা হয়েছে। ইউএস সেভেনথ ফ্লিটের তরফে লেফটেনান্ট নিকোলাস লিঙ্গো জানিয়েছেন একথা।
লিঙ্গো জানিয়েছেন, তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যে দিয়ে মার্কিন জাহাজের যাওয়ার বিষয়টি ইন্দো প্যাসিফিকে মুক্ত যাতায়াতের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তারই অঙ্গ। আন্তর্জাতিক আইন যেখানে অনুমোদন দেয় সেখানেই মার্কিন বিমান ওড়ে, মার্কিন জাহাজ ভাসে। এদিকে সূত্রের খবর মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ মাঝেমধ্যেই এই প্রণালীর মধ্যে যাতায়াত করে। আর প্রতিবারই বেজিং এনিয়ে রাগ দেখায়। আর এবারও ঠিক সেই পথেই হেঁটেছে চিন।
এদিক পিপলস লিবারেশন আর্মির তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, মার্কিন ভেসেলকে অনুসরণ করার জন্য চিনের তরফে জাহাজ ও যুদ্ধ বিমান মোতায়েন করা হয়েছিল। চিনের সামরিক মুখপাত্র কর্ণেল শি ওয়াই জানিয়েছেন, আমেরিকার এই ধরনের গতিবিধি নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করে। আঞ্চলিত স্থিতাবস্থাকে নষ্ট করে। সমস্ত ধরনের প্ররোচনা রুখতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নৌ চলাচলের স্বাধীনতার নাম করে মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ বার বার শক্তি দেখাচ্ছে ও প্ররোচনা ছড়াচ্ছে। এটা স্বাধীনতা নয়, এটা আঞ্চলিক শান্তিতে নাক গলানো।