ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, আমেরিকায় আবারও উর্ধ্বমুখী হয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের গ্রাফ। ভারতেও যাতে সেই ধারা পরিলক্ষিত না হয়, সেজন্য রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর নির্দেশ দিল কেন্দ্র।
শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইউরোপ এবং আমেরিকার দেশগুলিতে দৈনন্দিন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সময় (দেশে) রোগের গ্রাফ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য যাবতীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করছে ভারত। উত্তর ভারতের কয়েকটি রাজ্যে করোনা কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।’
আপাতত ভারতে করোনার ‘পজিটিভিটি রেট’ (যে সংখ্যক টেস্ট করা হয়েছে, তার কত শতাংশ পজিটিভ হয়েছে) চার শতাংশের সামান্য বেশি আছে। একটা সময় অবশ্য সেই হার ৩.৪ শতাংশে নেমে গিয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, দু'সপ্তাহের মতো যদি ‘পজিটিভিটি রেট’ পাঁচ শতাংশ বা তার কম থাকে, তাহলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে বলা যায়।
এমনিতে দৈনন্দিন ১০ লাখ নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে ভারতে। সবমিলিয়ে তা ১৩০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গিয়েছে। প্রতি ১০ লাখ জনসংখ্যায় সবথেকে বেশি টেস্ট হয়েছে দিল্লিতে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের রাজ্যে সেই সংখ্যাটা হচ্ছে ৩০৮,০০০। তা আরও ১০০,০০০-১২০,০০০ বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে দিল্লি সরকার। দিল্লির পরে আছে যথাক্রমে গোয়া (২২৯,৬০০), লাদাখ (২২৯,৫০০), আন্দামান (১৮৪,০০) এবং অন্ধ্রপ্রদেশ (১৬৮,০০০-এর বেশি)। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ১০ লাখ জনসংখ্যাপিছু নমুনা পরীক্ষার জাতীয় গড়ের (৯৪,৬৭৯) তুলনায় পিছিয়ে আছে মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং রাজস্থান। যে রাজ্যগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।