সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে প্রত্য়াখ্যান করেছেন বাংলার মানুষ কিন্তু বামেদের একেবারে ধ্বংসের মুখে পড়তে হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির তিনদিনের ভার্চুয়াল মিটিংয়ের শেষ লগ্নে একথা কার্যত স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত ১৯৭৭ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত এই বামেরাই বাংলায় ক্ষমতায় ছিল। সূত্রের খবর, শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত এই মিটিং চলে। বাংলার নির্বাচনী ফলাফল ও বাংলার সিপিএম নেতাদের ভূমিকা নিয়ে একেবারে চুলচেরা বিশ্লেষন হয়েছে এই মিটিংয়ে।
প্রসঙ্গত এবারের ভোটে ফলাফলের নিরিখে কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ বামেরা। বামেদের নির্বাচনী জোট শরিক আইএসএফ নেতা আব্বাস উদ্দিন সিদ্দিকির ভাই একটি মাত্র আসন পেয়েছেন। বাম ও কংগ্রেস একটি আসনও পায়নি। বলা হচ্ছে স্বাধীনতার পর এই প্রথম বাংলায় একটি আসনও পেল না কংগ্রেস ও বামেরা। তবে তৃণমূল পেয়েছে ২১৩টি আসন। বিজেপি পেয়েছে ৭৭টি আসন।
এদিকে সোমবার সেন্ট্রাল কমিটির তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, 'সিপিএম তথা বামেদের কাছে এই ফলাফল ধ্বংসাত্মক। ১৯৪৬ সালের পর এই প্রথম বিধানসভায় কোনও কমিউনিস্ট নেই। আত্মসমালোচনা করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। কোন ক্ষেত্রে সংশোধনের প্রয়োজন সেটাও আলোচনা হয়েছে। বাংলায় রাজ্য কমিটি এগুলি প্রয়োগ করবে।' তবে বাংলার এক বর্ষীয়ান সিপিএম নেতার দাবি, জনসংযোগ বৃদ্ধির উপর পুরোপুরি মন দেওয়ার জন্য সেন্ট্রাল কমিটি জোর দিয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে আলোচনা না করে আইএসএফের সঙ্গে কোনও নির্বাচনী জোট না করার ব্যাপারেও বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্য বলেন, পরিস্থিতিগত চাহিদা না থাকলে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট থাকবে। অন্যদিকে এবার স্বাধীনতা দিবসে রাজ্য ও জেলা কার্যালয়ে স্বাধীনতার পতাকা তোলার ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।