একের পর এক এক শৃঙ্গ জয়ের পর এবার জয় করলেন পৃথিবীর উচ্চতম সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ‘ওজোস দেল সালাডো’। নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে বুধবার আর্জেন্টিনা-চিলি সীমান্তে অবস্থিত এই আগ্নেয়গিরির চূড়ায় উঠতে সফল হন হুগলির হিন্দমোটরের বাসিন্দা শুভম চট্টোপাধ্যায়। সেখানে পৌঁছানোর পরে তিনি ভারতীয় পতাকা ওড়ান। (আরও পড়ুন: দমদমের তিন নম্বর আপ লাইনে সিগন্যালিংয়ে ত্রুটি, পরপর দাঁড়িয়ে পড়ল লোকাল ট্রেন)
আরও পড়ুন: ১৭ বছর বয়সেই সাত মহাদেশের সাত সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয়! নয়া রেকর্ড ভারতের কাম্যার
আরও পড়ুন: ৪৭ শতাংশের লাফ! কোভিডের পরে বাংলায় ক্রমেই বেড়েছে ভুয়ো ওষুধের রমরমা
এর আগে একাধিক এক শৃঙ্গ জয় করে রেকর্ড গড়েছেন বছর ২৭-এর শুভম। রাশিয়ার মাউন্ট এলব্রুস পর্বত জয় করে রেকর্ড করেছিলেন তিনি। শুভম মাউন্টেনিয়ার রনি নামেও পরিচিত। তাঁর এই সাফল্যে খুশি পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশিরা। জানা গিয়েছে, ছোট থেকেই পাহাড়ের প্রতি ঝোঁক ছিল শুভমের। একটু বড় হওয়ার পরেই শুভম পাহাড়ে ওঠার জন্য প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলেন। আর প্রশিক্ষণ শেষ হতেই একের পর এক বিভিন্ন পাহাড়ে অভিযান চালান। (আরও পড়ুন: বাসের মেয়াদ নিয়ে মন্ত্রী বলছেন এক কথা, হাইকোর্টে সরকারি আইনজীবীর মুখে 'অন্য কথা')
আরও পড়ুন: ভারত বিদ্বেষী হিজবুতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, তোপ ইউনুস সরকারকেও
উল্লেখ্য, ওজোস দেল সালাডো আর্জেন্টিনা - চিলি সীমান্তে আন্দিজ পর্বতমালায় অবস্থিত একটি সুপ্ত আগ্নেয়গিরি। এটি পৃথিবীর সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি এবং চিলির সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। ওজোস দেল সালাদোর উপরের অংশে বেশ কয়েকটি লাভা গম্বুজ, লাভা প্রবাহ এবং আগ্নেয়গিরির গর্ত রয়েছে। তার মধ্যে বরফের আচ্ছাদন রয়েছে। এই এলাকা ৭০-১৬০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। এর সর্বোচ্চ চূড়া সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬,৮৯৩ মিটার বা ২২,৬১৫ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। ওজোস দেল সালাদোর চারপাশে আরও অসংখ্য আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এই আগ্নেয়গিরিতে অত্যন্ত কম অক্সিজেন রয়েছে। তাছাড়া আবহাওয়া হল শুষ্ক। সেই প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে টানা ১১ ঘণ্টা অতিক্রম করে বুধবার শুভম আগ্নেয়গিরি জয় করেন। (আরও পড়ুন: ৯০ মিটার লম্বা ৬৫০ টন ভারী টানেল বোরিং মেশিন এল কলকাতায়, পাড়ি দিল ১৬৫৩ কিমি পথ)
আরও পড়ুন: আসতে চলেছে বড় পরিবর্তন? শুধু আধার নয়, এবার রেশন কার্ডের সঙ্গে জুড়তে পারে...
আরও পড়ুন: যতই 'তিড়িং বিড়িং' করুক না কেন, সেই ভারতের কাছেই আসলে হল বাংলাদেশকে
উল্লেখ্য, প্রথমবার এই আগ্নেয়গিরিতে সফল আরোহণ করেছিল পোল্যান্ডের একটি দল। সেটি ছিল ১৯৩৭ সালে। এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ থেকে তিন জন পর্বতারোহী এই আগ্নেয়গিরিতে উঠেছিলেন। তাঁরা হলেন ঘাটালের আবির হুদাইত, বাগনানের জগদ্বন্ধু মান্না এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন চিরাগ মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও ঠাকুরপুকুরের সত্যরূপ সিদ্ধান্ত এর আগে ওজোস দেল সালাডো জয় করেছেন ।প্রসঙ্গত, ওজোস দেল সালাডো হল স্প্যানিশ শব্দবন্ধ। এর অর্থ হল লবণের চোখ। তথ্য অনুযায়ী, এই আগ্নেয়গিরিতে শেষ বার আগ্নেয় বিস্ফোরণ হয়েছিল প্রায় ১৩০০ বছর আগে। তবে ১৯৯৩ সালে এই আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা নির্গমন হয়। তার পরিমাণ সামান্য ছিল বলেই জানা যায়।