৬ এবং ৭ অক্টোবর মধ্যবর্তী রাতে দক্ষিণ কাশ্মীরের কিশতোয়ার রেঞ্জে তুষারঝড় এবং বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যে পড়েছিল ভারতীয় সেনার একটি দল। জঙ্গি বিরোধী অভিযানে নেমেছিল দলটি। সেই দলে থাকা দুই সেনা জওয়ান নিখোঁজ হয়ে যান খারাপ আবহাওয়ার জেরে। প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে এই দুই সেনা জওয়ানেরই মৃত্যু হয়েছে। শহিদ দুই জওয়ানই বাঙালি। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার এক জওয়ানের দেহ উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার অপরজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেহ উদ্ধার হওয়ার পর তা কাঁধে করে পাহাড় থেকে নামিয়েছেন স্থানীয় কাশ্মীরিরা। সেই ভিডিয়ো সামনে এসেছে গতরাতে। তাতে দেখা গিয়েছে, তুষারে ঢাকা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে স্থানীয়রা নামছেন। তাঁদের কাঁধে বডি ব্যাগ। বডি ব্যাগের দুই প্রান্ত লাঠি দিয়ে ভর দেওয়া। সেই লাঠি কাঁধে নিয়ে নামছেন স্থানীয়রা।
জানা গিয়েছে, শহিদ জওয়ানরা সেনার এলিট প্যারা ফোর্সে ছিলেন। শহিদ ল্যান্স হাবিলদার পলাশ ঘোষের বাড়ি মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার রুকুনপুর বলরামপাড়ায় ছিল। আর ল্যান্স নায়েক সুজয় ঘোষের বাড়ি ছিল বীরভূমের রাজনগরের কুন্ডিরা গ্রামে। শুক্রবার ভারতীয় সেনার চিনার কোরের তরফ থেকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে শহিদ জওয়ানদের কুর্নিশ জানানো হয়।
সেনার বিবৃতিতে বলা হয়, 'মারাত্মক বিরূপ আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করে কোকেরনাগের কিশতোয়ার রেঞ্জে লাগাতার জঙ্গি-বিরোধী অভিযান চালানোর সময় দুই বীর ল্যান্স হাবিলদার পলাশ ঘোষ এবং ল্যান্স নায়েক সুজয় ঘোষ যে সর্বোচ্চ বলিদান দিয়েছেন, সেজন্য তাঁদের সম্মান জানাচ্ছে চিনার কোর। তাঁরা যে সাহসিকতা এবং নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন, তা আমাদের চিরকাল অনুপ্রাণিত করবে। বীর জওয়ানদের সাহসিকতা এবং আত্মত্যাগকে স্যালুট জানাচ্ছে চিনার স্কোর। আমরা শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি। আমরা তাঁদের কল্যাণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'