ফের ট্রেকিংয়ের নেশা প্রাণ কেড়ে নিল। মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লেন এক বাঙালি পর্যটক। সূত্রের খবর, অনুমতি ছাড়াই গত ১ সেপ্টেম্বর লিওয়ারি গ্রাম থেকে খিমলোগা–চিটকুলের উদ্দেশ্যে বাংলার তিনজন ট্রেকার এবং ৬ জন পোর্টার রওনা দিয়েছিলেন। যার মধ্যে বাঙালি ট্রেকার সুজয় দলুই খামিলোগা হিমবাহে পড়ে যান। গর্তে পড়ে নিখোঁজ হয়েছেন এক বাঙালি অভিযাত্রী। নিখোঁজ অভিযাত্রীর নাম সুজয় দলুই। এই পর্যটকের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলায়। পুলিশ–আইটিবিপি দল যোথভাবে তল্লাশি শুরু করেছে। জখম আরও দুই অভিযাত্রী। তাঁদেরকে সাংলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে উত্তরকাশীতে? জানা গিয়েছে, বাঙালি ট্রেকার সুজয় দলুই খামিলোগা হিমবাহে পড়ে যান। অপর দুই ট্রেকার সুব্রত বিশ্বাস এবং নরোত্তম জ্ঞান গুরুতর আহত হন। হাঁটতে না পারায় সুব্রত বিশ্বাস–সহ বাকি ট্রেকার ও পোর্টাররা দারোয়ান খামিলোগায় একটি ক্যাম্প তৈরি করে থাকেন। বাকি পোর্টাররা চিটকুলের ইন্দো–তিব্বত সীমান্তের কাছে গিয়ে গোটা ঘটনাটি আইটিবিপি জওয়ানদের জানান। তারপরেই উদ্ধারকজে করতে আসেন জওয়ানরা।
আর কী জানা যাচ্ছে? গোবিন্দ ওয়াইল্ডলাইফ ন্যাশনাল পার্ক থেকে খিমলোগা পাস হয়ে চিটকুল পর্যন্ত ট্রেকটিতে ছিলেন সবাই। ১ সেপ্টেম্বর লিওয়ারি গ্রাম থেকে খিমলোগা–চিটকুল ট্র্যাকের উদ্দেশে রওনা দেন তিনজন ট্রেকার। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ৬ জন পোর্টার। শনিবার সুজয় আচমকাই খামিলোহা হিমবাহে পড়ে যান। এই অবস্থা দেখে ইন্দো–তিব্বত বর্ডার পুলিশ ক্যাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। রাতেই আইটিবিপি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে আসেন।
আজ কী পরিস্থিতি সেখানে? আজ, রবিবার সকালে হিমাচল প্রদেশের কিন্নর জেলার বিপর্যয় মোকাহিলা বাহিনীর পক্ষ থেকে উদ্ধারকাজ করা হয়। দু’জন ট্রেকার–সহ আট সদস্য নিরাপদ রয়েছেন। শুধুমাত্র বাঙালি ট্রেকার সুজয় দলুই (৪২) মারা গিয়েছেন। গোটা ঘটনা আইটিবিপি জওয়ানদের নজরে আসে। আজ, সকালেই উদ্ধারকাজ চালিয়ে বাকিদের সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেন। যদিও একজন আহত রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা আধিকারিক দেবেন্দ্র পাটওয়াল জানান, অনুমতি ছাড়াই ওই তিনজন ট্রেক করতে গিয়েছিলেন।