মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিরচ্ছেদ করলে ১১ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা করেছিলেন বিজেপি নেতা। তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হল পশ্চিমবঙ্গের সিআইডির দলকে। সিআইডি আধিকারিকদের ঘরে বন্ধ করে মারধর করা হল। পরে তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ।
২০১৭ সালে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মুণ্ডচ্ছেদের জন্য ১১ লাখ টাকার পুরস্কারের ঘোষণা করেছিলেন বিজেপির যুব মোর্চার প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি যোগেশ বার্ষ্ণোই। সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলায় তিন মামলা রুজু হয়। একটি মামলা দায়ের করেছিলেন বোলপুরের তাপস মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। পরে সেই ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হাতে যায়। যোগেশকে গ্রেফতার করার জন্য আগেও আলিগড়ে এসেছিল পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ। কিন্তু কোনওবারই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
শুক্রবার আবার যোগেশের বাড়িতে আসে সিআইডির একটি দল। সঙ্গে ছিল স্থানীয় গান্ধীপার্ক থানার পুলিশ। বিষয়টি জানাজানি হতেই যোগেশের বাড়ির সামনে জড়ো হতে থাকেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। সিআইডি আধিকারিকদের একটি ঘরে বন্ধ করে মারধর করা হয়। তারইমধ্যে যোগেশের বাড়িতে চলে আসেন সাংসদ সতীশ গৌতম, বিধায়ক অনিল পরাশার ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সিআইডি আধিকারিকদের উদ্ধারের জন্য গান্ধীপার্ক থানা থেকে আরও পুলিশকর্মীরা যান। কিন্তু সেই অতিরিক্ত বাহিনীকে ওই ঘরের কাছে যেতে দেওয়া হয়নি। সাংসদ এবং বিধায়কের সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের বচসা শুরু হয়। পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন সাংসদ। প্রশ্ন করেন, কীভাবে স্থানীয় থানার অনুমতি ছাড়াই যোগেশের বাড়িতে আসতে পারল পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি? সঙ্গে অভিযোগ করেন, যোগেশের বাড়ির মহিলাদের হেনস্থা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি এবং স্থানীয় থানার পুলিশ। শ্লীলতাহানিও করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন সাংসদ।