বৃষ্টিতে জলে ডুবেছে রাস্তা। বিমানবন্দরে যেতে তাই ভরসা ট্র্যাক্টর! দেশের তথ্যপ্রযুক্তি হাব বেঙ্গালুরুর নিকাশি ব্যবস্থার এমনই বেহাল দশা। মাত্র ১৫-২০ মিনিটের বৃষ্টিতেই এমন অবস্থা দেশের আইটি হাব-এর।
তথ্যপ্রযুক্তি নগরী। মসৃণ রাস্তা, বিশাল ঝাঁ চকচকে বহুতল, সাজানো বাগান। সবই আছে। কিন্তু নেই দ্রুত নিকাশির ব্যবস্থা। লন্ডন, মায়ামিসহ বিশ্বের বহু নামী শহরের অবস্থা এমনই। আর সেই তালিকায় স্থান পেল বেঙ্গালুরুও। কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দরে যাওয়ার প্রধান রাস্তায় ভর্তি কাদা জল। গাড়ি, বাস যেতে পারছে না। তাই আনা হয়েছে ট্র্যাক্টর। তার পেছনে ক্যারেজ। যাতে করে সাধারণত চাষের জিনিস নিয়ে যাওয়া হয়।
তাতেই উঠে বিমানবন্দর পর্যন্ত আসছেন যাত্রীরা। গোটা পরিস্থিতির ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে মহিলাদের পর্যন্ত উঠতে দেখা যাচ্ছে ট্র্যাক্টরে। অনভ্যস্ত কারও পক্ষে এভাবে ট্র্যাক্টরের পেছনে ওঠা মোটেও সহজ নয়।
দেখুন ভিডিয়ো-
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন বহু যাত্রীই। অনেকের অভিযোগ, নগর পরিকল্পনাকারীরা শুধুমাত্র বাহ্যিক আড়ম্বরেই নজর দেন। তৈরি হচ্ছে দামী বিল্ডিং, হোটেল, রেস্তোরাঁ, শপিং মল, বাগান। এদিকে নিকাশি ব্যবস্থার মতো সাধারণ পরিষেবা নিয়ে মাথাই ঘামান না কেউ।
লন্ডন, কলকাতা থেকে ব্যাঙ্গালুরু, সর্বত্রই অবস্থা খারাপ।
দেখুন লন্ডনের রাস্তাঘাটের অবস্থা-
এ বিষয়ে কলকাতা মেট্রোপলিটান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির এক সিভিল ইঞ্জিনিয়ার মুখ খুললেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ইঞ্জিনিয়ার জানালেন, ‘জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে প্রতিটা শহরে নিকাশি ব্যবস্থায় চাপ পড়ছে। নিকাশী ঠিক করা অনেক কঠিন।’ কিন্তু কেন? তিনি জানালেন, নিকাশি ঠিক করতে হলে বিভিন্ন বড় রাস্তা বন্ধ করে কাজ করতে হবে। জল কোথায় ফেলা হবে, তা ঠিক করাও অত্যন্ত কঠিন। তাছাড়া নিচু শহরের জমা জল উর্ধ্বমুখে চালিত করাও প্রায় অসম্ভব।
সাধারণ মানুষের প্লাস্টিক ব্যবহারকেও তিনি দায়ি করেন। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর রাজস্বের একটা বড় অংশ আটকে থাকা নিকাশি ব্যবস্থা থেকে প্লাস্টিক বোতল, প্যাকেট ইত্যাদি জঞ্জাল অপসারণে খরচ হয়।’