বেঙ্গালুরুর বুকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে ৪ জনকে হামলা কাণ্ডে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পর পর পোস্ট পড়তে শুরু করে এই ঘটনার জেরে। ঘটনা গত শুক্রবারের। ৮ ফেব্রুয়ারি, বেঙ্গালুরুর ইন্দিরানগরে পর পর ৪ জনকে ছুরি নিয়ে কোপ বসায় এক যুবক। পুলিশ পরে তার পরিচিতি পেয়েছে। সোমবার পুলিশ জানিয়েছে, কদম্ব নামের ওই ব্যক্তি এই হামলা চালায়। এদিকে, হামলার ঘটনায় বেঙ্গালুরু জুড়ে ত্রাস। আপাতত এই কদম্বকে পাকড়াও করতে তৎপর পুলিশ।
এদিকে, ইন্দিরানগরের ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা তৈরি হয়, তাহলে কি বেঙ্গালুরুর রাস্তায় ঘুরছে কোনও সিরিয়ার কিলার? সেই সিরিয়াল কিলারের তত্ত্ব সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে বেঙ্গালুরুর পুলিশ বলেছে, ‘সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তার নাম কদম্ব…পুলিশের রেকর্ডে সে মোবাইল ফোন চোর এবং মদ্যপ হিসাবে পরিচিত। মদ্যপ অবস্থায় সে হামলা চালায়।’ ইন্দিরানগরের কাছে বৈপনাহাল্লি বস্তিতে কদম্বর বাস বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। শেষবার তাকে বেঙ্গালুরুর হোসকোটেতে দেখা গিয়েছে। আপাতত কদম্বকে ধরতে পুলিশের ৪ টি টিম রওনা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, ঘটনার দিনের প্রথম কাণ্ডটি রাত ৯.৩০ মিনিটে হয়। সেদিন জয়ওয়ান্ত নামের এক নাবালকের ওপর ছুরি নিয়ে নৃশংস হামলা চালায় ওই অভিযুক্ত। রক্তাক্ত নাবালককে রাস্তায় ফেলে সে পালায়। ঘটনার ১০ মিনিট পরে ফের এক কাণ্ড। এরপর কদম্বর টার্গেট হয়, ২৪ বছরের দীপক কুমার বর্মা। তাঁর কাছে এক প্লেট ফুচকা চেয়েছিল কদম্ব। তবে ফুচকা ফুরিয়ে যাওয়ায় তা দিতে অপারগ হয় দীপক। প্রথমে কান্নাড়া, তামিল, হিন্দিতে গালিগালাজ করতে থাকে অভিযুক্ত। এরপরই ছুরি বের করে ফুচকা বিক্রেতা দীপকের ঘাড়ে সে বসিয়ে দেয়। এরপর অন্য দোকানে গিয়ে ফুচকা খেতে যায় সে, সেখানে ফুচকা পেলেও ফুচকা বিক্রেতাকে ছুরি নিয়ে হামলা করে কদম্ব। তার আগে ফুচকার দাম নিয়ে দুজনের মধ্যে বচসা হয়। চতুর্থ ঘটনাটি ঘটে, রাত ২.৩০ মিনিটে, বেঙ্গালুরুর ৮০ ফিট রোডে। এক পথচলতি স্কুটার চালককে থামায় কদম্ব। তাঁকে রেল স্টেশন নিয়ে যেতে বলে। তবে তিনি যাননি। তারপরই ছুরির কোপ বসায় কদম্ব। পুলিশ মনে করছে মদ্যপ অবস্থায় কদম্ব এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। আপাতত কদম্বকে খুঁজছে পুলিশ।