বেঙ্গালুরুর প্রযুক্তিবিদ অতুল সুভাষের মা অঞ্জুদেবী দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের। ছেলের মৃত্যুর পর নাতিকে রাখতে চেয়েছিলেন কাছে। তবে তাঁর সেই আবেদনে মামলার শুননিতে আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। কোর্ট এদিন জানিয়েছে, প্রয়াত প্রযুক্তিবিদ অতুল সুভাষের স্ত্রীর কাছেই তাঁর সন্তানের হেফাজত থাকবে। তবে যদি তাঁর ঠাকুমা তার হেফাজত চান, তাহলে তাঁকে নিম্ন আদালতে আবেদনের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আইনি পথে হাঁটতে হবে বলে জানায় কোর্ট।
বেঙ্গালুরুর প্রযুক্তিবিদ অতুল সুভাষের আত্মহত্যা দেশ জুড়ে নানান প্রশ্ন তুলেছিল। তাঁর আত্মহত্যার জেরে অতুল সুভাষের স্ত্রী ছিলেন কাঠগড়ায়। বেঙ্গালুরু পুলিশ উত্তর প্রদেশে গিয়ে অতুল সুভাষের স্ত্রী নিকিতাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার হন, নিকিতার মা ও দাদাও। এরপর সদ্য তাঁরা জামিনে মুক্ত হন। তবে, এই অবস্থায় অতুল সুভাষের মৃত্যুর পর তাঁর ছেলের হেফাজত কোথায় যাবে? সেই প্রশ্ন তুলেই অতুল সুভাষের মা মঞ্জুদেবী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। শেষমেশ শিশুপুত্রের হেফাজতের নির্দেশ গেল তার মায়ের কাছেই। এই মামলাতে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা দেন অতুলের বিবাহ বিচ্ছিন্না স্ত্রী নিকিতা। ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতে হাজির করানো হয় অতুলের পুত্রকেও। এদিকে, আবেদনকারীরা বিস্তারিত হলফনামা দাখিল করার জন্য আরও এক সপ্তাহ সময় চান, সেই আবেদন শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নাগরত্ন জানিয়ে দেন আপাতত ছেলে থাকবে মায়ের কাছেই।
সুপ্রিম কোর্টে এদিন বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি এন কোটেশ্বর সিংহের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ বলছে, অতুলের সন্তানের কাছে তাঁর ঠাকুমা প্রায় একদন অচেনা মানুষ। এদিকে, সন্তানের মা জীবিত রয়েছেন। এর আগে, কোর্টের কাছে নিকিতার আইনজীবী আবেদন করেন, সন্তানকে যাতে নিকিতার সঙ্গে থাকতে দেওয়া হয়, তার জন্য। অতুল ও নিকিতার সন্তান আপাতত হরিয়ানার ফরিদাবাদে একটি আবাসিক স্কুলের পড়ুয়া। কোর্টে জানানো হয়, ফরিদাবাদের হস্টেল থেকে ছেলেকে নিয়ে এসে নিকিতা নিজের কাছে রাখতে চান। কোর্ট তা শুনেই জানা, তার আগে কোর্টে আনতে হবে অতুল ও নিকিতার ছেলেকে। সেই মতোই কোর্টে সোমবার তোলা হয় মা ও ছেলেকে। প্রসঙ্গত, অতুল সুভাষ আত্মহত্যা মামলায় তাঁর বিচ্ছিন্না স্ত্রী নিকিতা জামিন পেলেও মামলার তদন্ত এখনও চলছে।