হিংসায় তখন জ্বলছে বেঙ্গালুরু। জমায়েত করেছে ৫০,০০০-৬০,০০০ জন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী। চালানো হচ্ছে তাণ্ডব। আর সেই উন্মত্ত জনতার হাত থেকে মন্দির রক্ষা করতে এগিয়ে একদল যুবক। মন্দিরের সামনে একে অপরের হাত ধরে গড়ে তুললেন মানবশৃঙ্খল।
নবীর বিরুদ্ধে 'কুরুচিকর মন্তব্য' ঘিরে গত রাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বেঙ্গালুরুর ডিজে হাল্লি এবং কেজি হাল্লি থানা এলাকা। পলকেশী নগরে একটি থানায় ভাঙচুর চালায় একদল উত্তেজিত জনতা। কংগ্রেস বিধায়ক আখান্দা শ্রীনিবাস মূর্তির বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় গাড়িতে। পুলিশ এবং বিধায়কের বাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় বোতল এবং পাথর। বিধায়কের বাড়ির সামনে রাখা কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। ক্রমশ পরিস্থিতি শোচনীয় হতে থাকে।
তারইমধ্যে ডিজে হাল্লি থানা এলাকায় একটি মন্দিরে যাতে হিংসার রেশ এসে না পৌঁছায়, তা নিশ্চিত করতে এগিয়ে আসেন এলাকার একদল মুসলিম যুবক। মন্দিরের সামনের রাস্তায় একে অপরের হাত ধরে মানবশৃঙ্খল গড়ে তোলেন। ‘লৌহকপাট’ তৈরি করে মন্দিরের গায়ে হিংসার ছিটেফোঁটা আঁচ পড়তে দেননি তাঁরা। যে ‘লৌহকপাট’ একেবারেই ভাঙার ছিল না।