বেঙ্গালুরুর হিংসাত্মক ঘটনায় আহত একজনের মৃত্যু হল। তার জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন। পাশাপাশি সেই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ১৪৫ জনকে গ্রেফতার করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ।
পুলিশ কমিশনার কমল পন্থকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, যে যুবকের পোস্ট ঘিরে মঙ্গলবার রাতে সংঘর্ষ শুরু হয়, তাকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত যুবকের নাম নবীন। যে কংগ্রেস বিধায়কক আখান্দা শ্রীনিবাস মূর্তির ভাইপো। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের অভিযোগ, তাঁদের এক ধর্মগুরুর নামে কুরুচিকর মন্তব্য করা হয়েছে। যদিও যুবকের দাবি, তিনি সেই পোস্ট করেননি এবং তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে ক্ষুব্ধ হয়ে গতরাতে পুলকেশী নগরে একটি থানায় ভাঙচুর চালায় একদল উত্তেজিত জনতা। কংগ্রেস বিধায়কের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় গাড়িতে। পুলিশ এবং বিধায়কের বাড়ি লক্ষ্য করে বোতল এবং পাথর ছোড়া হয়। বিধায়কের বাড়ির সামনে রাখা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, সংঘর্ষে একজন অতিরিক্ত কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিক-সহ ৬০ জন পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন।
পরে একটি ভিডিয়ো বার্তায় শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান কংগ্রেস বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘লড়াইয়ের কোনও দরকার নেই। আমরা সবাই ভাই। আইন মোতাবেক (অভিযুক্ত) ব্যক্তিকে আমরা শাস্তি দেব। আমরা আপনাদের সঙ্গেও থাকব।’
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুরো বেঙ্গালুরুতেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বি বোম্মাই জানিয়েছেন, কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নেবেন, তা বরদাস্ত করা হবে না। আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বাড়তি বাহিনীও মোতায়েন করা হয়। এলাকার এখনও উত্তেজনা থাকলেও পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তাঁর মতোই কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। তিনি বলেন, ‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি সামলাতে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। সাংবাদিক, পুলিশ ও আমজনতার উপর হামলা অর্মাজনীয়। এরকম প্ররোচনা এবং গুজব বরদাস্ত করবে না সরকার। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’