বিজিবির এবং বিএসএফ প্রধানদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল গতবছরের ডিসেম্বরেই। তবে সেই বৈঠক সময়মতো হয়নি। তবে ফেব্রুয়ারিতেই সেই বৈঠক হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও সেই বৈঠকের সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও জবাব দিতে পারেনি ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। এই আবহে বৈঠক নিয়ে মুখ খুলল বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের টাকাপোড়েনের মধ্যেই সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক জায়গায় বিএসএফকে কাঁটাতারের বেড়া দিতে বাধা দিয়েছে বিজিবি। এই আবহে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধানদের বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ সংক্রান্ত চুক্তি বাতিল? মুখ খুলল ভারতীয় সংস্থা)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পাশে থাকতে চাই, সীমান্তে কাঁটাতার বিবাদের মাঝে বার্তা ভারতের
এই আবহে বাংলাদেশ বলছে, বিজিবি ডিজি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকির ভারত সফর নিয়ে কোনো গোপনীয়তা নেই। বিজিবি প্রধানের ভারত সফরের খবর নিয়ে বাংলাদেশে জোর চর্চা চলছে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে 'বিজিবি প্রধানের ভারত সফর নিয়ে গোপনীয়তা, সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড়' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই আবহে বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিতে সোশ্যাল মিডিায় পোস্ট করেছে বিজিবি। দাবি করা হয়েছে, বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশ করে মানুষের মনে বিজিবির ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ২ ডিসেম্বর বিএসএফ ও বিজিবির (তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস) মহাপরিচালকদের মধ্যে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৩ সালে নয়াদিল্লি ও ঢাকায় বিএসএফ এবং বিজিবির শীর্ষ কর্তাদের দ্বিবার্ষিক সভা করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এই আবহে সম্প্রতি বাংলাদেশের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, ১৭-২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে ভারতের নয়াদিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে ভারতের তরফ থেকে সেই বৈঠকের তারিখ নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট কথা বলা হয়নি। (আরও পড়ুন: বন্দে ভারত ছুটল কাশ্মীরে, পথে পড়বে অঞ্জি খাদ ও চেনাব রেল ব্রিজ, দেখুন ভিডিয়ো)
আরও পড়ুন: 'ভারতই সব কিছুর মূলে', ভরা সভায় 'খুনের' নিদান বাংলাদেশি ইসলামি নেতার
প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া নিয়ে সংঘাত দেখা গিয়েছে বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে। এই আবহে একধিক জায়গায় ভারতীয় ভূখণ্ডের কাঁটাতার দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ছে বিএসএফ। এর জেরে সীমান্তের বহু জায়গায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা। এই ইস্যুতে বাংলাদেশের দাবি, ১৯৭৫ সালে যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত চুকি দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তা অনুযায়ী, সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে ১৫০ গজ ভিতরে 'প্রতিরক্ষা কাঠামো' তৈরি করা যাবে। এদিকে ২০১০ সালে অবশ্য বাংলাদেশ ভারতকে লিখিত আকারে অনুমতি দিয়েছিল যে সীমান্তে ১৫০ গজের ভিতরেও প্রয়োজনে কাঁটাতারের বেড়া দিতে পারবে ভারত। এই কথা নিজে স্বীকার করেছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী।