ভাগলপুরের তাতাপুর থানা এলাকার কাজবলি চকে শুক্রবার একটি বিস্ফোরণের জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার জেরে নিমেষে মৃত্যু হয় ১৪ জনের। আহতের সংখ্যা ১০। প্রশ্ন ওঠে, কীভাবে বাড়ির ভিতরে এই বিস্ফোরণ ঘটে? প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, একটি বাড়ির ভিতর রাখা ছিল প্রচুর পরিমাণ বারুদ। আর সেই বারুদ বিস্ফোরণের জেরেই ঘটে যায় এই কাণ্ড।
ভাগলপুরের এই ঘটনার জেরে ৪ টি বাড়ি পর পর ধূলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। বহু বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে, বহুক্ষণ ধরে ধ্বংসাবশেষ তুলে ফেলার পর দেখা গিয়েছে পড়ে রয়েছে আরও ৫ টি শবদেহ। এদিকে, ততক্ষণে ১০ আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুরু হয় তাঁদের চিকিৎসা।
এদিকে ভাগলপুরের তাতাপুরে এমন ঘটনার জেরে ক্ষুব্ধ ডিআইজি। এলাকার বাড়িতে কীভাবে এত পরিমাণ বারুদ মজুত থাকতে পারে, বা কেনই বা এভাবে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে? তার উত্তর জানতে চেয়ে তাতাপুরের থানা প্রধান এসকে সুধাংশুকে সাসপেন্ড করেছেন পুলিশের ডিআইজি সুজিত কুমার। প্রশাসনের তরফে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে গোটা ঘটনার রিপোর্ট পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিটি স্তরে গিয়ে পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে। উল্লেখ্য, পুলিশ জানতে চাইছে এত সংখ্যক বারুদ ভাগলপুরে কীোভাবে এল? কেনই বা তা একটি জনবহুল জায়গার বাড়িতে এভাবে রাখা ছিল? বোমস্কোয়াড দিয়ে গোটা এলাকা তল্লাশি ছাড়াও একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে পুলিশ।