পঞ্জাবে আপের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। আর তাঁর জায়গায় দলের সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের এই দাবি আগেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। মঙ্গলবার ফের একবার বিরোধীদের দাবি উড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জোরালো কণ্ঠে দাবি করেছেন, যে আপ নেতৃত্বের তাঁকে সরানোর কোনও পরিকল্পনা করছে না।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে ভরাডুবির পর পঞ্জাবে কি মুখ্যমন্ত্রী বদল করছে আপ? জবাব দিলেন ভগবন্ত মান
মানসা জেলার সারদুলগড় মহকুমায় আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ভগবন্ত। সেখানে তিনি বলেন, ‘আপ সুপ্রিমো এবং দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল পঞ্জাবের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন এমন দাবির কোনও সত্যতা নেই।’ এপ্রসঙ্গে যুক্তি দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এটা কি আদৌ সম্ভব? কেজরিওয়াল দলের একজন জাতীয় নেতা এবং বিভিন্ন রাজ্যে তাঁকে অনেক দলীয় কাজ করতে হয়। এটা শুধুমাত্র গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এই ধরনের দাবির কোনও সত্যতা নেই।’
এছাড়াও, আমেরিকায় অবৈধ পঞ্জাবি অভিবাসীদের প্রতিও সংবেদনশীল হওয়ার আর্জি জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার যুবকদের এখানে নতুন জীবন শুরু করতে অনুপ্রাণিত করার জন্য নিয়োগ করেছে। আমেরিকায় পঞ্জাবি অভিবাসীদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা তাদের পাশে আছি যাতে তারা কোনও শারীরিক চাপের শিকার না হয়। তারা অবৈধভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পদক্ষেপ নিয়েছে কারণ তাদের বাড়ির আর্থিক অবস্থা খারাপ। তাদের পড়াশোনা করা উচিত এবং প্রতিযোগিতামূলক সরকারি চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।’
মুখ্যমন্ত্রী জানান, সরকার সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করে রাজ্যের চেহারা বদলের চেষ্টা করা হচ্ছে।এর পাশাপাশি তিনি জানান, সরকার স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ, কর্মসংস্থান এবং পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতের উন্নয়নের উপর জোর দিচ্ছে। রাজ্যে সাধারণ মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই ক্ষেত্রগুলিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মান বলেন, পঞ্জাবকে দেশের অন্যতম অগ্রণী রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সবরকমভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। এর ফলে পঞ্জাবিরা আরও সমৃদ্ধ হবে।
এছাড়াও, মুখ্যমন্ত্রী নাগরিক পরিষেবাকে আরও মসৃণ, সহজে সরবরাহ নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন। এদিন তহসিল কমপ্লেক্স পরিদর্শনের সময় মুখ্যমন্ত্রী মান স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। সরকারি পরিষেবা সম্পর্কে তাঁদের কাছে জানতে চান। তিনি স্পষ্ট জানান, যে তিনি ভুল ভ্রান্তি পরিদর্শন করার জন্য আসেননি বরং অফিসের কাজ আরও উন্নত করা এবং দক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য সেখানে পরিদর্শনে গিয়েছেন।