বারো থেকে ১৮ বয়সিদের শরীরে জরুরি ভিত্তিতে কোভ্যাক্সিন প্রয়োগের অনুমতি দিল ভারত। এমনটাই জানিয়েছেন বিষয়টির সঙ্গে অবহিত আধিকারিকরা। নাম গোপন রাখার শর্তে এক উচ্চপদস্থ কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক বলেছেন, ‘হ্যাঁ, শিশুদের শরীরে কোভ্যাক্সিন প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)।’
জাইডাস ক্যাডিলার পর দ্বিতীয় টিকা হিসেবে ১২ বছর বা তার ঊর্ধ্বে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন পেলেও এখনই তা শিশুদের দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, 'ডিসিজিআই শিশুদের শরীরে জরুরি ভিত্তিতে কোভ্যাক্সিন প্রয়োগের অনুমতি দিলেও টিকা প্রাপকদের বয়স কমানোর ক্ষেত্রে টিকাকরণ সংক্রান্ত জাতীয় উপদেষ্টা গোষ্ঠীর পরামর্শের জন্য অপেক্ষা করছি আমরা।'
ভারত বায়োটেকের তরফে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের তথ্য জমা দেওয়ার পর গত ১২ অক্টোবর শিশুদের দেহে প্রয়োগের জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটির ছাড়পত্র পেয়েছিল কোভ্যাক্সিন। বিশেষজ্ঞ কমিটির ছাড়পত্রের প্রায় ১০ সপ্তাহ পর চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে ভারতীয় সংস্থার করোনাভাইরাস টিকা। যে টিকাকে গত মাসেই অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। তার ফলে বিদেশ যাত্রার থেকে সুবিধা পাচ্ছেন ভারত বায়োটেকের করোনাভাইরাস টিকা গ্রহীতারা। এমনিতে হায়দরাবাদের সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, উপসর্গ-যুক্ত করোনা আক্রান্তদের ক্ষেত্রে ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী হয়েছে কোভ্যাক্সিন। নয়া ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে কোভ্যাক্সিনের ৬৫.২ শতাংশ কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করা হয়েছে।