ভারত বায়োটেকের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সংস্থা আইসিএমআর একযোগে যে করোনা টিকা তৈরি করছে, সেটির প্রথম দফার ক্লিনিকাল ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। কোভ্যাক্সিন টিকার প্রাথমিক ফলাফল নিশ্চিত ভাবেই আশা জোগাচ্ছে বিজ্ঞানীদের কারণ কোনও গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এতে দেখা দেয় নি। বরং টিকা নেওয়ার পর শরীরে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ার মতো প্রতিরোধী শক্তি তৈরি হয়েছে।
যে সব রোগীরা করোনা থেকে সেরে উঠেছেন, তাদের শরীরের সেরামে যেরকম অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছে ঠিক একই রকম মিলেছে যারা করোনা টিকাটি নিয়েছেন তাদের শরীরে। যে সব স্বেচ্ছাসেবকরা নিয়েছেন এই সম্ভাব্য টিকা, তাদের মধ্যে একজনের গুরুতর শরীর খারাপ হয়, কিন্তু পরে দেখা যায় তার সঙ্গে টিকার কোনও সম্পর্ক নেই। জানা গিয়েছে দুই ডিগ্রি থেকে আট ডিগ্রির মধ্য়ে এটি স্টোর করা যায় যেটি বর্তমানে ভারতে যে কোল্ড চেইনগুলি আছে, তার সামর্থ্যের সঙ্গে মানানসই।
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বলতে মূলত যেখানে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে সেই স্থানটিতে ব্যাথা করেছে স্বেচ্ছাসেবকদের। প্রথম ও দ্বিতীয় শট, উভয় ক্ষেত্রেই একই রকম প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গিয়েছে।
শুধু একজনের ক্ষেত্রেই ৩০ জুলাই টিকা দেওয়ার পর পাঁচদিন বাদে কোভিড ধরা পড়ে। তারপর সে হসপিটালে ভর্তি হয় ও ২২ অগস্টে ছাড়া পায়। কিন্তু সেই ঘটনার সঙ্গে টিকার কোনও যোগ নেই বলেই জানা গিয়েছে।
১১টি হাসপাতালে ৩৭৫ জনের ওপর পরীক্ষা হয়েছে প্রথম দফায়। আধা মিলিলিটার করে দুইবার চোদ্দো দিনের অন্তরে এই টিকা দেওয়া হয়। এর পর ফলো-আপ ভিজিট করা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে তাদের শারীরিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার জন্য। এখনও তাতে কোনও নেতিবাচক রিপোর্ট আসেনি বলেই জানিয়েছে সংস্থা।