শীঘ্রই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেতে পারে কোভ্যাক্সিন। তবে তার আগেই এই অনুমোদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে কোনও কিছু বলতে নারাজ কোভ্যাক্সিন প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেক। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ভারত বায়োটেকের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। সংস্থার তরফে বলা হয়, প্রক্রিয়া সম্পর্কে এখনও কোনও কথা বলা ঠিক হবে না।
ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকে টুইট করে বলা হয়েছে যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সকল প্রশ্নের জবাব দিয়েছে তারা। এর আগে জুলাই মাসে কোভ্যাক্সিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের ফলাফল জমা করা হয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে। টুইটে হায়দরাবাদের সংস্থাটি লেখে, 'ডব্লিউএইচওর কাছ থেকে চাওয়া সব ধরনের ব্যাখ্যা সাড়া দিয়েছি আমরা। আমরা বাকি প্রতিক্রিয়া শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। বেশ কিছু পূর্বনির্ধারিত ভ্যাকসিনের দায়িত্বশীল প্রস্তুতকারক হিসেবে জানাতে চাই, আমরা অনুমোদন প্রক্রিয়া এবং এর সময়সীমা সম্পর্কে অনুমান বা মন্তব্য করা উপযুক্ত মনে করি না।'
উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার থেকে জরুরি ভিত্তিতে আবেদনের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত বায়োটেক। গত জুলাইয়ের গোড়ার দিকে বিশ্বের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন জানিয়েছিলেন, চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদন পেতে পারে কোভ্যাক্সিন। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের তথ্য দেখে ভালো মনে হচ্ছে। যদিও সেরকমটা হয়নি।
সেই পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাওয়ার জন্য কোভ্যাক্সিনের হয়ে তদ্বির করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডবিয়া। দেখা করেছিলেন বিশ্বের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান বিজ্ঞানীর সঙ্গে। এই আবহে অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও কথাই খোলসা করে বলতে চাইছে না ভারত বায়োটেক।