কোভ্যাক্সিনের (Covaxin) গবেষণা, ট্রায়াল ও উত্পাদনে খরচ হয়েছে কয়েকশো কোটি টাকা। তাই খোলা বাজারে বিক্রির সময়ে যথোপযুক্ত দাম না রাখলে ন্যূনতমখরচটুকুও উঠবে না। মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) চেয়ারম্যান ডঃ কৃষ্ণ এল্লা।
সোমবার দেশে খুচরো বাজারে করোনা টিকা বিক্রিতে সবুজ সংকেত দেয় কেন্দ্র। আর তারপরেই এ বিষয়ে নিজের মত জানান ভারত বায়োটেকের প্রধান। তিনি বলেন, 'যতটা সম্ভব যেন দাম রাখা হয়। যাতে অন্তত তাঁদের ক্লিনিকাল ট্রায়াল-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে খরচ হওয়া প্রায় ৩৫০ কোটি টাকাটা অন্তত ফেরত আসে। এর ফলে ভবিষ্যতে আরও বিভিন্ন ধরনের টিকার বিষয়ে আমরা কাজ চালিয়ে যেতে পারব।'
পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করে দেন যে ভারত বায়োটেক সরকারের কাছে ট্রায়ালের জন্য কোনও টাকা নেয়নি। একইভাবে উত্পাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যও সরকারি আর্থিক সাহায্য মেলেনি। ষষ্ঠ অল ইন্ডিয়া ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন-এর অনুষ্ঠানে এমনটাই বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে চাপে টিকা উত্পাদনকারী সংস্থাগুলিও। করোনা আবহে কর্মী জোগাড় করা, কাঁচামাল সংগ্রহ করা ইত্যাদি সবই অনেক বেশি কঠিন। তাছাড়া টিকার জোগান বৃদ্ধি করতে উত্পাদন কেন্দ্রের সংখ্যা ও ক্ষমতা আরও বাড়ানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
'গত মার্চে আমরা ১.৫ কোটি ডোজ করোনা টিকা উত্পাদন করেছি। এপ্রিলে আমাদের লক্ষ্য ২ কোটি। আর আগামী মাসে সেটা ৩ কোটিতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে,' উত্পাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জানান তিনি।
এর পাশাপাশি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার প্রসঙ্গেও এদিন তিনি আলোচনা করেন। অনেকক্ষেত্রে দুটি ডোজ নেওয়ার পরেও করোনা পজিটিভ আসছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘টিকা নেওয়ার পরেও মাস্ক পরতেই হবে। টিকা করোনার মারাত্মক প্রভাব থেকে অবশ্যই রক্ষা করবে। কিন্তু সামাজিক দূরত্ববিধি, মাস্ক না পরলে করোনা সংক্রমণ আটকাতে পারবে না।’
গত সোমবার তৃতীয় দফায় 'উদারীকরণ এবং ত্বরান্বিত' টিকাকরণ প্রক্রিয়ার জন্য নয়া পদক্ষেপের ঘোষণা করা হয়। সেখানেে বলা হয়, উৎপাদকদের প্রতি মাসে ৫০ শতাংশ টিকা কেন্দ্রকে দিতে হবে। বাকি ৫০ শতাংশ টিকা রাজ্য সরকার এবং খোলা বাজারে জোগান দিতে পারবে উৎপাদক সংস্থা। কত দামে সেই টিকা বিক্রি করা হবে, তা আগামী ১ মে'র আগে ঘোষণা করা হবে।