৩০ জানুয়ারি শেষ হবে ভারতকে জোড়ো যাত্রা। যাত্রার অন্তিম পর্যায়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে পা মেলানোর জন্য ২১টি সমমনস্ক রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানানো হয়েছে। দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এই আমন্ত্রণ পাঠিয়েছেন দেশের ২১টি রাজনৈতিক দলগুলিকে। আমন্ত্রণ পাওয়া দলগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের পাশাপাশি রয়েছে জেডিইউ, শিবসেনা, তেলুগু দেশম পার্টি, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে, সিপিআই, সিপিআইএম, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, আরএলএসপি, এইচএএম, পিডিপি, এনসিপি, এমডিএমকে, ভিসিকে, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ, কেএসএম, আরএসপি। তবে আমন্ত্রণ পায়নি অরবিন্দর কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। (আরও পড়ুন: 'বিদ্বেষ ছড়ায় রামচরিতমানস', বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্কে বিহারের শিক্ষামন্ত্রী)
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারানোর পর থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। এদিকে উত্তরপ্রদেশেও অখিলেশ যাদব, মায়াবতীরা কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাতে নারাজ। অপরদিকে দক্ষিণী রাজ্য তেলাঙ্গানায় কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের বিআরএস-এর সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো নয় হাত শিবিরের। তবে এই সব তিক্ততা ভুলে বিজেপির সঙ্গে এক মঞ্চে একত্রিত হতে এই সব দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কংগ্রেস। তবে পঞ্জাবে কংগ্রেসকে হারিয়ে সরকার গঠন করা আম আদমি পার্টির সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস ছাড়া এখন একমাত্র অ-বিজেপি দল হিসেবে দু'টি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে আম আদমি পার্টিই। এই আবহে কংগ্রেসের কর্তৃত্ব মানতে নারাজ অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিকে মমতাও রাহুলকে নেতা হিসেবে মানতে নারাজ। তবে রাহুলের পদযাত্রার প্রশংসা শোনা গিয়েছে তৃণমূল সাংসদ, বিধায়কদের মুখে। তবে সেই সব মন্তব্য 'দলীয় মত' নয়।
এদিকে কংগ্রেস চাইছে, বিজেপি বিরোধী সকল দলকে রাহুলের পদাত্রার মঞ্চে এনে দাঁড় করাতে। তাতে রাহুলের নেতৃত্বে 'সিলমোহর' পড়বে। তবে এর আগে উত্তরপ্রদেশে ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নিতে অখিলেশ, মায়াবতীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল হাত শিবির। তবে সেই আমন্ত্রণ এড়িয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের জোটসঙ্গী সিপিএম। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বরাবরই সুর চড়িয়ে এসেছে তারা। এদিকে বাংলার সীমানা ছাড়িয়ে মেঘালয়, ত্রিপুরা, অসমে নিজেদের পায়ের তলার জমি শক্ত করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক করতে মরিয়া ঘাসফুল শিবির। এই পরিস্থিতিতে রাহুলের যাত্রার সমাপনী অনুষ্ঠানে মমতার দলের কেউ যাবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয়েছিল ভারত জোড়ো যাত্রা। তারপর থেকে এই পদযাত্রা তামিলনাড়ু, কেরল, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানা হয়ে কাশ্মীরে পৌঁছবে এই যাত্রা। মোট ১২টি রাজ্য এবং ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিয়ে গিয়েছে এই যাত্রা। আগামী ৩০ জানুয়ারি শেষ হবে এই যাত্রা। রাহুল গান্ধী সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন সেদিন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup