১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর। সংসদের বিশেষ অধিবেশন বসতে পারে। আর সংসদের সেই বিশেষ অধিবেশনে দেশের নাম বদলের ব্যাপারে বিল আনা হতে পারে বলে তুমুল জল্পনা ছড়িয়েছে। সেক্ষেত্রে ইন্ডিয়ার নাম বদলে হয়ে যেতে পারে ভারত। কিন্তু ঠিক কোন বিষয়কে কেন্দ্র করে এই জল্পনা ছড়াল?
সূত্রের খবর, আসলে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর জি-২০ নৈশভোজ হবে। সেখানে রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফ থেকে একটি আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। আর সেখানে লেখা প্রেসিডেন্ট অফ ভারত। কিন্তু সাধারণত প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া লেখা হয়। সেই জায়গায় প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া লেখা দেখেই নতুন করে জল্পনা ছড়াতে থাকে।
এদিকে সূত্রের খবর, বিজেপি এমপি প্রবেশ ভার্মা একটি প্রাইভেট মেম্বারস বিল আনার চেষ্টা করছেন বলে খবর। সেখানে সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ইন্ডিয়া শব্দটি বাদ দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে বলে খবর।
তবে ইন্ডিয়ার নাম বদলে ভারত রাখার ক্ষেত্রে বিল আনার ব্যাপারে সরকারিস্তরে অবশ্য কোনও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। হিন্দুস্তান টাইমস এনিয়ে বিভিন্ন স্তরে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু এটা নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। সেই সঙ্গেই সংসদের বিশেষ অধিবেশন নিয়েও কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি।
কিন্তু তারপরেও কেন এই নাম বদল নিয়ে এত জল্পনা?
আসলে এই জল্পনার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। সব থেকে বড় বিষয় হল আরএসএস নেতৃত্ব অবশ্য ভারত নামের পক্ষে রয়েছেন। দেশের নাম বদলে ইন্ডিয়া থেকে ভারত করার পক্ষপাতী তারা। এমনকী আরএসএস নেতৃত্ব বরাবরই ভারত নামে দেশকে বন্দনা করে থাকেন। আরএসএস নেতা মোহন ভাগবত গত সপ্তাহেও জানিয়েছিলেন, যে ভাষাতেই হোক না কেন আমাদের দেশের নাম ভারতই।
তার সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবনের ওই আমন্ত্রণপত্র। সেখানে কেন প্রেসিডেন্ট অফ ভারত লেখা হল তা নিয়ে প্রশ্নটাকে উসকে দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ। তিনি এক্স প্লাটফর্মে লিখেছেন, আর্টিকেল ১ অনুসারে ভারতই ইন্ডিয়া। তিনি লিখেছেন মোদী ইতিহাসকে বিকৃত করতে পারেন। ভারতকে বিভাজন করতে পারেন। সেই সঙ্গেই তিনি লিখেছেন জুড়েগা ভারত, জিতেগা ইন্ডিয়া। আর এই ক্য়াপশানকে সামনে রেখেই বড় প্রচারে নামছে ইন্ডিয়া জোট।
আর আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দাবি, কোনও সরকারি তথ্য নেই। তবে একটা রটনা। কিছু দল কাছাকাছি এসে ইন্ডিয়া তৈরি করেছে। যদি ইন্ডিয়া নাম বদলে ভারত করে ফেলে তবে কি তারা ভারত নামটা রাখবেন?