শুক্রবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনটি কৃষি আইন বাতিল করার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি গুরু নানক জয়ন্তীর দিনে তিনি আন্দোলনরত কৃষকদের কাছে আবেদন জানান যাতে তাঁরা নিজেদের আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। তবে মোদীর এই ঘোষণার পরই কৃষক নেতা রাকেশ তিকাইত জানিয়ে দেন যে যতদিন না সংসদে কৃষি আইন প্রত্যাহার করার বিষয়টি নিশ্চিত হচ্ছে, ততদিন আন্দোলন জারি থাকবে।
আন্দোলনকারী কৃষকনেতারা স্পষ্ট করেছেন, তাঁরা মূলত দু'টি দাবি নিয়ে প্রতিবাদ করছেন: কৃষি আইনগুলি বাতিল এবং এমএসপির নিশ্চয়তা। কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণার পর কৃষকদের তরফে জানানো হয়েছে, সরকার তাঁদের একটি দাবি মেনে নিয়েছে ৷ তবে এখনও আরও একটি দাবি নিয়ে কেন্দ্র কিছু বলেন। এদিন তিকাইত স্পষ্ট করে নিজেদের আন্দোলনের ভবিষ্যত প্রসঙ্গে জানাতে টুইট করে লেখেন, 'আন্দোলন ফিরিয়ে নেওয়া হবে না। আমরা সেই দিনের অপেক্ষায় থাকব যেদিন সংসদে কৃষি আইন বাতিল করা হবে। এমএসপি ছাড়াও কৃষকদের অন্যান্য সমস্যা নিয়েও সরকারের কথা বলা উচিত।'
এদিকে কৃষকদের আন্দোলনের সামনে মাথা ঝুঁকিয়ে আজ কৃষি আইন প্রত্যাহার করার ঘোষণা করলেও মোদী এদিন দাবি করেন, তাঁর সরকারের উদ্দেশ্য সত্ ছিল। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এই তিনটি আইনের লক্ষ্য ছিল কৃষকদের, বিশেষ করে ছোট কৃষকদের ক্ষমতা বাড়ানো। কৃষকদের স্বার্থে আইনগুলি আমরা প্রয়োগের পরিকল্পনা করেছিলাম কিন্তু এক শ্রেণির কৃষকদের বোঝাতে পারিনি। তাই আমরা তিনটি কৃষি আইন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী সাংসদ অধিবেশনে সেগুলি বাতিল করার ব্যবস্থা করা হবে।'