ভীমা কোরেগাঁও-এলগার পরিষদ মামলায় অভিযুক্ত গুরুতর অসুস্থ জেলবন্দি গৌতম নওলখা আবেদন করেছিলেন যাতে তাঁকে গৃহবন্দি করা হয়। এই আবেদনের শুনানি চলাকালীনই সরকারপক্ষের আইনজীবীকে মৌখিক ভাবে বেশ কড়া কথা শোনায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কেএম জোসেফ ও হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চ। এলগার পরিষদ মামলায় নওলখা বর্তমানে মুম্বইয়ের একটি জেলে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে আছেন। তবে অসুস্থতার কারণে তিনি গৃহবন্দি হওয়ার আবেদন জানান। তবে নওলখার সেই আবেদনের বিরোধিতা করেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু। তিনি বলেন, ‘নওলখার মতো মানুষ দেশকে ধ্বংস করতে চাইছেন। নওলখার মতো মানুষরা মোটেই নিরীহ নন।’ এরপরই শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ মৌখিক পর্যবেক্ষণ করে, ‘এই দেশ কে ধ্বংস করছে? যারা দুর্নীতিবাজ তারা। প্রতিটি অফিসে আপনি যান, সেখানে কি হয়?’
শীর্ষ আদালত অভিযুক্ত নওলাখা প্রসঙ্গে বলে, ‘তিনি একজন ৭০ বছর বয়সি মানুষ। আমরা জানি না তিনি কতদিন বাঁচবেন। আমরা তাঁকে জামিন দিচ্ছি না। আপনি (কেন্দ্র) যে বিধিনিষেধ চান, আপনি আরোপ করুন। আমরা তাঁকে জামিন দিতে যাচ্ছি না... আমরা সতর্ক আছি। আমি মনে করি না তাঁরা এই দেশকে ধ্বংস করতে চায়।’ আদালত বলে, ‘আপনি কি জানতে চান, কারা এই দেশকে ধ্বংসের পথে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে? সেইসব মানুষ, যারা দুর্নীতিগ্রস্ত। আপনি যে অফিসেই যান, কী দেখতে পান, কী হয় সেখানে?’
শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা আরও বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে কে ব্যবস্থা নেয়? তাদের (দুর্নীতিগ্রস্ত) হাতে অনেক টাকার ব্যাগ রয়েছে, যা দিয়ে তারা পার পেয়ে যাচ্ছে।’ এরপর অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল বলেন, তিনি দুর্নীতিগ্রস্তদের পক্ষে নন। এরপর শীর্ষ আদালত বলে, যদি নওলখাকে গৃহবন্দি রাখতে হয়, তাহলে কী কী বিধিনিষেধ জারি করা হবে তা যেন এনআইএ-র তরফে জানানো হয়।