দীর্ঘকাল পরে অবশেষে ইউনিয়ন কার্বাইডের বর্জ্য থেকে মুক্তি পেয়েছে ভোপাল। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের কাছে অবস্থিত পিথমপুরে সেই বর্জ্য নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে সেগুলি পোড়ানোর কথা ছিল। এই আবহে পিথমপুরে বনধ ডাকা হয় শুক্রবার। এরই মাঝে সেই বর্জ্য পদার্থ পোড়ানোর ঘটনার প্রতিবাদে দুই ব্যক্তি গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন। প্রত্যক্ষদর্শী এবং ঘটনার ভাইরাল ভিডিয়ো অনুযায়ী, বর্জ্য নিষ্কাশনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে করতেই দুই ব্যক্তি তাদের শরীরে কিছু তরল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দু সাংবাদিকের মা এবং মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে ধারাল অস্ত্রের কোপ)
আরও পড়ুন: সোমে বৈঠক,ভারত থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ইউরোপের করিডর চালু নিয়ে ডোভালকে বলবেন US NSA
আরও পড়ুন: 'দ্বিতীয় আরজি কর হবে', শান্তিপুরে মহিলা ডাক্তারকে হুমকি সুপারের, নিষ্ক্রিয় পুলিশ
ধর জেলার পুলিশ সুপার সুপার মনোজ সিংকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও তিনি পিটিআইয়ের প্রশ্নের জবাব দেননি। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দু'জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, গায়ে আগুন দেওয়া দুই ব্যক্তির নাম রাজকুমার রঘুবংশী এবং রাজু প্যাটেল। তাঁদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল আছে বলে জানা গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, পিথমপুর বাঁচাও সমিতির আয়োজিত প্রতিবাদে এক কর্মসূচির সময় এই ঘটনা ঘটে। জানা যায়, কংগ্রেসই এই পিথমপুর বাঁচাও কমিটির ছাতার তলায় প্রতিবাদ জানাচ্ছে। (আরও পড়ুন: প্রয়াত পোখরান পারমাণবিক পরীক্ষার 'মাথা', শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী মোদীর)
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে মিলল সশস্ত্র গোষ্ঠীর ক্যাম্প, তবে একজনকেও ধরতে পারল না বাংলাদেশি সেনা
ভোপালের ইউনিয়ন কার্বাইড কারখানার সেই দুর্ঘটনা আজও রক্ত হিম করে দেয় অনেকের। সেই বিভীষিকাময় রাতের প্রায় ৪০ বছর পর গত ১ জানুয়ারি রাতে সরানো হয়েছে বিষাক্ত বর্জ্য। ভোপাল থেকে একধিক ট্রাকে করে খুব সাবধানে সেই বর্জ্য পদার্থ ভোপাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ইন্দোরের কাছে অবস্থিত পিথমপুরে। মোট ৩৩৭ টন বর্জ্য পদার্থ ভোপালের ইউনিয়ন কার্বাইড কারখানা থেকে সরানো হয়। গ্রিন করিডর করে সন্তর্পণে এই বর্জ্য পরিবহণ করা হয়। ভোপাল থেকে পিথমপুরের দূরত্ব প্রায় ২৫০ কিলোমিটার। উল্লেখ্য, পিথমপুরের জনসংখ্যা প্রায় ১.৭৫ লক্ষ। পিথমপুর শিল্পাঞ্চলে তিনটি সেক্টরে প্রায় ৭০০ কারখানা রয়েছে। (আরও পড়ুন: অনুপ্রবেশে মদত দিচ্ছে BSF, অভিযোগ করেছিলেন মমতা, জবাবে বিদেশ মন্ত্রক বলল...)
আরও পড়ুন: আরজি কর নিয়ে একের পর এক 'তত্ত্ব', আদালতে ফাইনাল সাবমিশনে কী বলল CBI?
গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে ইউনিয়ন কার্বাইডের কারখানা থেকে বিষাক্ত বর্জ্য সরানোর জন্যে তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। কারখানা চত্বরের সাফাই শেষ করে ১ জানুয়ারি রাত ৯টা ৫ মিনিটে ১২টি ট্রাকে করে ৩৩৭ টন বর্জ্য পদার্থ ভোপাল থেকে সরানো হয়। উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট এর আগেও একাধিকবার ইউনিয়ন কার্বাইডের কারখানা থেকে বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল। তবে সেই কাজ হয়নি। এই আবহে গত ডিসেম্বরে এই সংক্রান্ত মামলায় আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় কর্তৃপক্ষকে। এই বর্জ্য সরানোর জন্যে চার সপ্তাহের সময় বেঁধে দেয় উচ্চ আদালত। এই আবহে বিশেষ কন্টেইনার নিয়ে একের এক ট্রাক গত রবিবার থেকেই ইউনিয়ন কার্বাইডের কারখানায় পৌঁছে যায়। সেই সব ট্রাকে করেই বর্জ্য পদার্থ পৌঁছে যায় পিথমপুরে।