ভুপালের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র নিশান্ত রাঠোরের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নানা চর্চা চলেছে। তবে স্পেশাল ইনভেসটিগেশন টিম জানিয়ে দিল তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তাকে খুন করা হয়নি। কিন্তু কেন তিনি আত্মহত্যা করলেন?
পুলিশ সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশের রায়সেন জেলায় গত ২৪ জুলাই সন্ধ্যায় নিশান্তে দেহ রেললাইনে দু টুকরো অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল।তবে সিট জানিয়েছে এটা খুনের ঘটনা নয়। মৃত্যুর আগে তিনি বাবার কাছে একটি মেসেজ করেছিলেন। তাতে লেখা ছিলর একটাই শাস্তি ভগবানের কাছে, মাথা থেকে ধড় আলাদা করে দেওয়া।
ইনস্টাগ্রামেও একই মেসেজ পাঠানো হয়েছিল। এই মেসেজকে ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় পুলিশের অন্দরে। তদন্তকারীরা জেনেছেন, তিনি অনেকের কাছ থেকে লোন নিয়েছিলেন। অন্তত ১৮টি ইনস্ট্যান্ট লোন অ্যাপ থেকেও তিনি লোন নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই লোন মেটানো নিয়ে তিনি সমস্য়ায় পড়ে যান। সম্ভবত তার জেরেই আত্মহত্যা।
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ২৩ জুন তিনি কলেজের ফি দেওয়ার জন্য বোনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ফি ও মেটাতে পারেননি। সম্ভবত ভগবানের সামনে বলিদান কথাটি উল্লেখ করে তিনি হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের কাছে নিজেকে শহিদ বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিলেন যাতে তার পরিবার সরকারি সহায়তা পায়।
তবে দেহের পাশে যে ফোনটি পড়েছিল তা কেউ তোলেননি। তদন্তকারীরা বলেন, সবটাই অনুমান। তার মনে কী চলছিল তিনিই একমাত্র জানেন।