কেন্দ্রীয় সরকার মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণার সময় জানিয়ে দিয়েছে গ্রামীণ এলাকায় একটি নির্দিষ্ট পরিচিত নম্বর জমির জন্য করা হবে। অর্থাৎ ভূ আধার নম্বর। শহরাঞ্চলে সমস্ত জমি সংক্রান্ত ব্যাপারকে ডিডিটাল করার ব্যাপারে বলা হয়েছে। তাঁর বক্তব্যে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে এই জমি সংক্রান্ত সংস্কারের ব্যাপারে। এটা শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চল উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আগামী তিনবছরের মধ্যে এই সংস্কারের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।
রাজ্যগুলির সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, জমি সংক্রান্ত যে সংস্কার ও কাজগুলি রয়েছে সেটা গ্রামীণ ও শহরাঞ্চল যেখানে খুশি হতে পারে তার মধ্য়ে (১) জমি সংক্রান্ত প্রশাসন, পরিকল্পনা ও ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থা থাকবে।
(২) শহরাঞ্চলে পরিকল্পনার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা থাকবে। উপযুক্ত অর্থনৈতিক সাপোর্টের ব্যবস্থাও করা হবে।
গ্রামীণ এলাকায় জমি সংক্রান্ত পদক্ষেপের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইউনিক ল্যান্ড পার্সেল আইডেনটিফিকেশন নম্বর ( ULPIN) অথবা ভূ-আধার সমস্ত জমির ক্ষেত্রে সংযুক্ত করা হবে। সমস্ত জমি সংক্রান্ত ম্যাপ আর কেবলমাত্র নথিতে নয়। সেই নথিকে ডিজিটাল মাধ্য়মে রূপান্তরিত করা হবে। সেই সংশ্লিষ্ট জমির বর্তমান মালিক কে, ল্যান্ড রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে আরও স্বচ্ছ করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
এই ব্যবস্থার মাধ্য়মে কৃষকদেরও বিশেষ সুবিধা হবে। কৃষকদের ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রেও বিরাট সুবিধা হবে।
শহরাঞ্চলে জমি সংক্রান্ত সমস্যা মেটানোর ক্ষেত্রে নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, শহরাঞ্চলে ল্যান্ড রেকর্ডকে ডিজিটাল মাধ্য়মে রূপান্তরিত করা হবে। জিআইএস ম্যাপিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। আইটি ভিত্তিক একটি ব্যবস্থা করা হবে। এক্ষেত্রে কার কতটা জমি কোথায় রয়েছে, সেগুলিকে আপডেট করা , কর সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে ঠিকঠাক করার ব্যাপারে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গেই এই গোটা ব্যবস্থাগুলিকে পরিচালনা করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আর্থিক সুবিধার ব্যবস্থাও করা হবে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার একটি অর্থনৈতিক পলিসির উপর জোর দিচ্ছে। মূলত সংস্কারের উপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। উৎপাদনের সমস্ত সহযোগী বিষয়গুলির পাশে থাকবে সরকার। এক্ষেত্রে জমি, শ্রমিক, মূলধন, প্রযুক্তি সহ নানা বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে অভিজ্ঞ মহলের মতে, এই নয়া ব্যবস্থার মাধ্যমে জমি সংক্রান্ত কারচুপি বন্ধ করা সম্ভব হবে।