বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয় যে গোটা পর্বটি নিয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হচ্ছে। আর তার জেরেই বিতর্ক দানা বাঁধছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিসটেন্ট ইনফরমেশন অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন অফিসার চন্দ্রশেখর গৌরী বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন টুইটারে।
বেনারস হিন্দু বিশ্বাবিদ্যালয়ের উপাচার্য সুধীর কে জৈনকে আমন্ত্রণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিলা হস্টেলে। সেখানে তাঁর আমন্ত্রণ ছিল ইফতার উপলক্ষ্যে। এদিকে বেনারস হিন্দু বিশ্বাবিদ্যালয়ের উপাচার্যের এই ইফতারে আমন্ত্রণ নিয়ে প্রবল ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়ে দেয় যে দুই দশক পুরনো পরম্পরা মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এই আমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েছিলেন।
এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয় যে গোটা পর্বটি নিয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হচ্ছে। আর তার জেরেই বিতর্ক দানা বাঁধছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিসটেন্ট ইনফরমেশন অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন অফিসার চন্দ্রশেখর গৌরী বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন টুইটারে। তিনি স্পষ্ট করে লেখেন, 'বিষয়টি নিয়ে কোনও ভ্রান্ত তথ্য সরবরাহ উচিত নয়। প্রথমত ইফতার পার্টি উপাচার্য সুধীর কে জৈন আয়োজন করেননি। পড়ুয়ারা ও শিক্ষকরা তাঁকে আমন্ত্রণ করেছিলেন। বিএইচইউ পরিবারের প্রধান হিসাবে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। বিএইচইউতে ইফতারের আয়োজনের ঐতিহ্য দুই দশক পুরনো।' আরও খবর-খাট থেকে পড়ে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী, ময়নাগুড়ির নির্যাতিতার বাড়িতে বিপত্তি
গোটা বিতর্কের শুরু একটি ছবিকে ঘিরে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপস্থিত রয়েছেন এক ইফতার পার্টিতে। এরপরই ক্যাম্পাসে এই ঘটনার প্রতিবাদে নামেন বেশ কয়েকজন। উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা পোড়নো হয়। উপাচার্যের বাড়ির সামনে পোড়ানো হয় তাঁর কুশপুত্তলিকা। বিতর্কের আগুনে উত্তাল হতে থাকে বিএইচইউ। এদিকে প্রতিবাদীদের মধ্যে এক পড়ুয়া বলছেন, তিনি গত ৫ বছর ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছেন, তবে এমন কোনও ইফতার পার্টির কথা তিনি শোনেননি বলে জানিয়েছেন। প্রতিবাদী ওই ছাত্র বলেন, ' উপাচার্য একটি প্রেস কনফারেন্স করেছিলেন এটি ঘোষণার জন্য,সেখানে তিনি বলেছিলেন যে বিশ্ববিদ্যালয় ইফতার পার্টি আয়োজন করছে।' এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রোক্টর বলেছেন, 'কোনও আনুষ্ঠানিক উদযাপন হয়নি.. প্রথমবার কোনও কলেজ অফিশিয়াল এই ইফতার পার্টিতে যোগ দিয়েছেন।' বিষয়টির তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছে প্রতিষ্ঠানের ভগত সিং ছাত্র মোর্চা।