বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Bhupendra Patel: গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ২য় ইনিংস শুরু করলেন মৃদুভাষী ভূপেন্দ্র প্যাটেল

Bhupendra Patel: গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ২য় ইনিংস শুরু করলেন মৃদুভাষী ভূপেন্দ্র প্যাটেল

গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল।

ভূপেন্দ্র দলের একজন নিষ্ঠাবান কর্মী হিসেবেই পরিচিত। পুরসভা স্তর থেকে রাজ্যের রাজনীতিতে নিজের পথ তৈরি করেছেন প্যাটেল। বিজেপি নেতৃত্ব যখন বিজয় রূপানির জায়গায় প্যাটেলকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা অনেককেই চমকে দিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া কথা রেখেছেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল। তিনি গুজরাটে বিজেপিকে রেকর্ড ভোটে জিতিয়েছেন। প্রায় ২ লক্ষের কাছাকাছি ভোটে জিতে নিজেও রেকর্ড গড়েছেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল। ফলে ফের একবার তাঁর উপরই আস্থা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। দ্বিতীয়বারের জন্য তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসলেন। আজ দুপুর ২ টোয় গান্ধীনগরের হেলিপ্যাড ময়দানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর উপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল।

সোমবারের এই মেগা শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা সহ দেশের ২০টি বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। এছাড়াও ছিলেন অনেক সাধু সন্ত। ভূপেন্দ্র প্যাটেলের পাশাপাশি এদিন শপথ নেন আরও ২৫ জন মন্ত্রী। নিয়ম অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী সহ সকলকেই শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত।

ভূপেন্দ্র একজন নিষ্ঠাবান দলীয় কর্মী হিসেবেই পরিচিত। পুরসভা স্তর থেকে রাজ্যের রাজনীতিতে নিজের পথ তৈরি করেছেন প্যাটেল। বিজেপি নেতৃত্ব যখন বিজয় রূপানির জায়গায় প্যাটেলকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা অনেককেই চমকে দিয়েছিল। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে রাজনীতিতে খুব বেশি পরিচিত ছিলেন না ভূপেন্দ্র প্যাটেল। গত এক বছরে গুজরাটে নিজেকে নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বিশেষ করে গুজরাটের ভোটে জয়ী হওয়ার জন্য কাদভা পাটিদার সম্প্রদায়ের সমর্থন পাওয়া খুবই প্রয়োজন ছিল বিজেপির পক্ষে। তাই কাদভা পাটিদার সম্প্রদায়ের মন পেতে তাদের সম্প্রদায় থেকে প্যাটেলকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিল বিজেপি।

আহমেদাবাদে জন্মগ্রহণ করা প্যাটেল ঘাটলোদিয়া আসনের একজন বিধায়ক। তিনি ২০১৭ সালে ১ লক্ষ ১৭ হাজারের বেশি ভোটে আসনটি জিতেছিলেন। তবে এবারের নির্বাচনে সেই সংখ্যা তিনি ছাপিয়ে গিয়েছেন। ভালোবেসে অনেকেই সেখানে তাঁকে 'দাদা' বলে ডাকেন। এর আগে আহমেদাবাদ আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ২০১০ এবং ২০১৫ সালে গুজরাটের বৃহত্তম পুরসভা আহমেদাবাদের স্থায়ী কমিটিরও চেয়ারম্যান ছিলেন।

বন্ধ করুন