গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল। সোমবার রাজভবনে ছিমছাম অনুষ্ঠানে শপথ গ্রহণ করেন প্রথমবারের বিধায়ক। ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সশরীরে হাজির না থাকলেও নয়া মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভূপেন্দ্রের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পরই টুইটারে মোদী লেখেন, ‘গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য ভূপেন্দ্র ভাইকে অভিনন্দন। আমি তাঁকে বহু বছর ধরে চিনি। দলের সংগঠনে হোক, পুর প্রশাসন হোক বা সমাজ হোক, সর্বত্র তাঁর কাজের দৃষ্টান্ত দেখেছি। নিশ্চিতভাবে উনি গুজরাতের উন্নয়নের গ্রাফ আরও উপরে তুলবেন।’
গুজরাতের ঘাটলোদিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ভূপেন্দ্র। গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের শশীকান্ত প্যাটেলের বিরুদ্ধে ১ লাখ ১৭ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। তিনি আমদাবাদ পুরনিগমের স্থায়ী কমিটির সভাপতিত্বও করেন। তবে সেইসব ছাপিয়েও ভূপেন্দ্রের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘পতিদার’ পরিচয়। গুজরাতের নির্বাচনে পতিদার সম্প্রদায়ের মানুষ নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করেন। যা বিজয় রুপানিকে সরিয়ে দেওয়ার অন্যতম কারণ বলে বিজেপির একটি অংশের দাবি।
বিজেপি সূত্রে খবর, করোনাভাইরাস এবং জাতপাত নিয়ে ‘ব্যর্থতার’ কারণেই রুপানির উপর কোপ নেমে এসেছে। ঠিকমতো করোনাভাইরাসের ঢেউ সামলাতে পারেননি রুপানি। তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। পাশাপাশি পতিদার সম্প্রদায়ের মধ্যেও বিজেপির জন্য মজবুত সমর্থন গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন জৈন রুপানি। যেখানে পতিদার সম্প্রদায়ের উপর ভোটের ভাগ্য অনেকাংশে নির্ভরশীল। সেই সম্প্রদায়ের সমর্থন পালটে গেলে যে কোনও নির্বাচনের হাওয়া ঘুরে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বিজেপির একাংশের বক্তব্য, বিধানসভা নির্বাচনের এক বছরের সামান্য বেশি বাকি থাকতে মুখ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়ায় প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হাওয়াও কিছুটা রোখা যাবে।