করোনা পর্বে বন্ধ থাকার আড়াই বছর পর খুলছে ভুটান গেট। পুজোর মুখে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য ভুটান গেট খুলে যাবে। এ নিয়ে পর্যটক এবং পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে খুশির হাওয়া বইলেও বেশ কিছু বিধি-নিষেধ জারি করেছে ভুটান সরকার। ভুটানে প্রবেশ থেকে শুরু করে রাত্রিযাপন এসমস্ত কিছুতেই বেশ কিছু নতুন নিয়ম নিয়ে এসেছে সেই দেশের সরকার।
ভুটান গেট খোলার আগে গত শুক্রবার জলপাইগুড়ি ও ভুটানের সামসির জেলাশাসক ও পুলিশ সুপাররা বৈঠক করেন। ভুটানে প্রবেশের জন্য কী কী নথি প্রয়োজন, কত টাকা দিতে হবে, পর্যটকরা কত দিনের জন্য যাবেন? এই সবকিছু নিয়ে আলোচনা হয়। আগে ভুটানের প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনও রেজিস্ট্রেশন বা টাকা লাগতো না। তবে নতুন নিয়মে ভুটানে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রি রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। তাছাড়া ভুটানে প্রবেশের জন্য সাসটেইনেবল ফি বাবদ দিতে হবে ১২০০ টাকা। পর্যটকদের কাছ থেকে এই টাকা নেবে ভুটান সরকার। শুধু তাই নয়, কোন ভারতীয় পর্যটক গেলে ভোটার কার্ড বা পাসপোর্ট অথবা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে জন্ম সার্টিফিকেট নিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: দুবছর পরে পুজোর আগেই খুলছে ভুটান গেট, কেনাকাটা নিয়ে জারি নয়া নির্দেশ
তবে নতুন নিয়মে ভুটান ভ্রমনে বেশি টাকা খরচা হওয়ার পাশাপাশি পর্যটন ব্যবসায়ীরাও সমস্যায় পড়বেন বলে মনে করছেন অনেকে। এ বিষয়ে ভুটানের সামসির জেলাশাসক পাশাং দর্জি জানিয়েছেন, ‘দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে ভুটান গেট বন্ধ থাকার ফলে পর্যটন ব্যবসা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পর্যটকদের কাছ থেকে এই টাকা ডেভলপমেন্ট ফি হিসেবে নেওয়া হচ্ছে। এই টাকা দেশের উন্নয়নের কাজে আমরা ব্যবহার করব। আমরা চাই সকলের সহযোগিতা করুন।’
জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেছেন, ‘ভুটানের প্রতিনিধিরা নয়া নিয়মাবলী লিখিত আকারে আমাদের কাছে দেবেন। সেগুলি পাওয়ার পর আমরা পর্যটন ব্যবসায়ীদের কাছে সেই নিয়মাবলিগুলি পাঠিয়ে দেব। অন্যদিকে, পর্যটন ব্যবসায়ীরা চাইছেন নিয়মাবলী কিছুটা শিথিল করুক আনুক ভুটান সরকার।