অসমে কষিকাজের জন্য ব্যবহৃত চাষের জল আটকে দিচ্ছে ভুটান। ভারতীয় মিডিয়ার একাংশে প্রকাশিত এই খবর সম্পূর্ণ অসত্য বলে জানিয়ে দিল থিম্পু। ভারতের সঙ্গে যাতে ভুল বোঝাবুঝি হয়ে যায়, তার জন্য অসাধু স্বার্থ এসব খবর রটাচ্ছে বলে মনে করছে ভুটান সরকার।
ভুটানের বিদেশমন্ত্রক বলে কিছু রিপোর্ট দাবি করছে যে কৃষিকাজের জন্য বক্সা ও উদালগুরি জেলায় যে জল লাগে, সেটা আটকে দিয়েছে ভুটান সরকার। এই দুই জেলা ভুটারে সমদ্রুপ জংখার জেলার সংলগ্ন। এটা খুবই কষ্টদায়ক অভিযোগ বলে অভিহিত করে বিদেশমন্ত্রক বলে জল বন্ধ করার কোনও প্রশ্নই নেই। ভুটান ও অসমের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এরকম অভিযোগের মাধ্যমে নষ্ট করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
অসমের মুখ্যসচিব বৃহস্পতিবারই বলেন যে মিডিয়া রিপোর্ট ভুল। প্রাকৃতিক ভাবেই কিছু জায়গায় জল আটকে গিয়েছে বলে জানান তিনি। ভুটান এই পরিস্থিতি সামাল দিতে সাহায্য করছে বলে জানান তিনি।
ভুটানের বিদেশমন্ত্রক বলে বহু দশক ধরেই নেপালের জল পাচ্ছে অসমের দুই জেলা ও করোনার সময়েও তাদের জল সাপ্লাই করা হয়। ভুটানের মানুষ, বিশেষত যারা সীমান্তবর্তী এলাকায় থাকেন, তারা ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখেন বলে জানায় ওই দেশের বিদেশমন্ত্রক।
ভুটান সরকার জানিয়েছে করোনার জেরে সীমান্ত বন্ধ। অসমের চাষিরা তাই তাদের চাষের জন্য জলের বন্দোবস্ত করতে ভুটানে আসতে পারেনি। কিন্তু ভুটানের সাধারণ মানুষ ও সীমান্তবর্তী জেলার প্রশাসন আলক্ষেতে যেখানেই চাষে অসুবিধা হচ্ছে, সেখানে সাহায্য করছে, বলে জানিয়েছে থিম্পু।
ভারী বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রশাসন যন্ত্রপাতি নিয়ে স্ট্যান্ডবাইতে আছে যে কোথাও জল আটকে গেলে সেখানে সাফ করে দেওয়ার জন্য। অসমে যাতে কৃষিকাজের জন্য জলের অভাব না হয়, তার সাধ্যমতো চেষ্টা করবে ভুটান, বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে খুব বৃষ্টির কারণে একটু সাহায্য করতে দেরি হতে পারে বলে একটু ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দিয়েছে থিম্পু।