অসহায় কাবুল, তালিবানি প্রভাব বিস্তারের আবহে আরও দ্রুত আফগানিস্তান ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আফগানিস্তান ক্রমেই তালিবানিদের হাতে চলে যাচ্ছে। এই আবহে নির্দিষ্ট সময়ের দশ দিন আগে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অনেক মহলেই। পাশাপাশি বাইডেনের দাবি, আফগানিস্তান তালিবানিদের হাতে যাবে না বলে তিনি আশাবাদী। ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে যখন এক এক করে আফগানিস্তানের একাধি এলাকা তালিবানের দখলে চলে যাচ্ছে, তখন বাইডেনের বক্তব্য, 'আরও একটি বছর আফগানিস্তানে যুদ্ধ করে কাটানোর কোনও মানে হয় না। এতে কোনও সমাধান মিলবে না। আমরা সেখানে মার্কিনিদের আরও এক প্রজন্মকে পাঠাব না। আফগানিস্তানে আমাদের মিশন ৩১ আগস্ট শেষ হবে।'
এর কয়েকদিন আগেই হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। উল্লেখ্য, এর আগে এক মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি করা হয় যে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ৬ মাসের মধ্যে কাবুলের পতন হবে। এই পরিস্থিতিতে তালিবানদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি অনুযায়ী আমেরিকা পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার করছে সেদেশ থেকে।
দুই দিন আগেই কাবুলের টিকটবর্তী বাগরাম বিমানঘাঁটি ত্যাগ করেছিল মার্কিন সেনা। সেটা আফগানিস্তানে সবথেকে বড় সেনা ঘাঁটি ছিল। বাগরাম থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার হতেই আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকা কিছুক্ষণের মধ্যে চলে যায় তালিবানি দখলে। বাগরাম ঘাঁটির নিরাপত্তায় দায়িত্বরত আফগান কমান্ডার আবার অভিযোগ করেছিলেন যে মার্কিন সেনারা চলে যাওয়ার পর বাগরাম ঘাঁটিতে থাকা একটি কারাগারে বন্দী পাঁচ হাজারের বেশি তালিবান পালিয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি মার্কিনিরা নাকি আফগানদের না জানিয়েই আমেরিকা বাগরাম ছাড়ে।