শেষ হল বহুপ্রতিক্ষিত হাইভোল্টেজ বৈঠক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার রাষ্ট্রনেতারা বৈঠকে রাষ্ট্রদূতদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে একমত হয়েছেন। পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়েও সদর্থক আলোচনা করতে সম্মত হয়েছেন। এই দুই বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন ও রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন। এদিন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন রুশকে সতর্কও করে দিয়েছেন যে, যদি রাশিয়া ভবিষ্যতে সাইবার আক্রমণের মতো ঘটনা ঘটায়, তাহলে আমেরিকাও তার পাল্টা জবাব দেবে। জানা গিয়েছে, দুই রাষ্ট্রনায়কদের মধ্যে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে এই বৈঠক চলেছে।
হোয়াইট হাউসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বৈঠকটি শেষ হয় স্থানীয় সময়ে বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে। সেই সময়ে দু’জন রাষ্ট্রপতি ছাড়াও তাঁদের পাঁচ জন করে সহকারী এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এই শীর্ষ বৈঠকে পরমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা ছাড়াও রাষ্ট্রদূতদের নিজেদের দায়িত্বে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে একমত হয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি বাইডেন ও রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিন।
বুধবার দু’দেশের এই শীর্ষ বৈঠকের পর রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘আলোচনার সময় কোনও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল না। তাই প্রত্যাশার চেয়ে অনেক দ্রুত এই বৈঠক শেষ হয়েছে। শুধু তাই নয়, পারমাণবিক অস্ত্র সীমাবদ্ধ রাখার দু’দেশের মধ্যে শেষ চুক্তি স্থাপনের জন্য পরামর্শও হয়েছে।’
পুতিন আরও বলেন যে, ‘ তিনি ও মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন রাষ্ট্রদূতদের তাঁদের পদে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য গঠনমূলক’ আলোচনায় একমত হয়েছেন। রাষ্ট্রদূতদের নিজ নিজ পদে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দু’দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে।' তিনি জানান, কয়েক মাস ধরে দু’দেশের সম্পর্ক শীতল হওয়ার কারণে উভয় দেশই ওয়াশিংটন ও মস্কোতে তাদের শীর্ষ দূতদের ফিরিয়ে নিয়েছিল। পুতিন বলেন যে, ‘আগামিদিনে রাষ্ট্রদূতরা তাঁদের পদ ফিরে পাবেন বলে আশা করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে উভয় পক্ষই নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।’ জেনেভার লুইস লেকসাইড সুইস ম্যানসনে বৈঠক করছেন জো বাইডেন এবং ভ্লাদিমির পুতিন।