আইটি সেক্টরের কর্মীদের অধিকার রক্ষায় প্রতিষ্ঠিত ন্যাসেন্ট ইনফরমেশন টেকনোলজি এমপ্লয়িজ সেনেট(NITES)। এবার টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসের বিরুদ্ধে শ্রম দফতরের নালিশ জানাল তারা। কারণটা জানলে চমকে যাবেন। এবার শ্রম দফতর এনিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার।
ইকনমিক্স টাইমসের রিপোর্ট বলছে, তারা তাদের চিঠিতে লিখেছে, ২০০০ কর্মীকে জোর করে বদলি করা হয়েছে। এমনকী তাদের সঙ্গে কোনও কথাবার্তা না বলেই যাকে খুশি যেখানে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। বেশ নিষ্ঠুর ভাবেই তাদের বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।এক্ষেত্রে কর্মীদের বলা হয়েছিল আপনারা ১৪ দিনের মধ্যে বদলি হয়ে যান। না হলে আপনাদের বেতন কাটা যাবে। এদিকে এই ফরমানের জেরে ওই কর্মীদের মধ্যে ব্যপক আতঙ্ক ছড়ায়। এমনকী তারা আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েন। তারা অনেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থার মধ্যে পড়েন।
সেই নিরিখে আইটি সেক্টরের কর্মীদের জন্য তৈরি অধিকার রক্ষায় নিয়োজিত সংগঠনের দাবি এভাবে বদলি করার জেরে শ্রম আইনকে ভঙ্গ করা হল কি না এটা দেখা দরকার। সেকারণেই তারা শ্রম দফতরকে বিষয়টি জানিয়েছে।
চিঠিতে তারা উল্লেখ করেছে, আমাদের মনে হচ্ছে টিসিএস যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা অনৈতিক। এটা শ্রম আইনকে লঙ্ঘন করেছে। এভাবে বদলির পেছনে কোম্পানি কোনও উপযুক্ত কারণও দেখাতে পারেনি। এমনকী কর্মীদের জন্য কোনও বিকল্প পথের সন্ধানও তারা দিতে পারেনি।
ওই চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, টিসিএস কর্মীদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। সেখানে তাদের মুম্বই সহ অন্য়ান্য জায়গায় বদলি করা হয়েছে। ইমেলে উল্লেখ করা হয়েছে এই যে বদলি এটা ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে করা হয়েছে। কিন্তু নির্দিষ্টভাবে কোনও কারণ জানানো হয়নি।
এমনকী ইমেল করে কর্মীদের জানানো হয়েছিল সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে তাদের নতুন লোকেশনে রিপোর্টিং করতে হবে। না হলে তাদের বেতন বন্ধ হতে পারে। তবে টিসিএসের দাবি এটা রুটিন বদলি। তবে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হায়দরাবাদে যারা কর্মরত ছিলেন তাদের বদলি করা হয়েছে। এমনকী মাত্র ১-২ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন কর্মীদের বদলি করা হয়েছে।