তৃণমূলের তরফ থেকে বার বার অভিযোগ করা হচ্ছে যে এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে বাংলার জন্য কিছুই প্রায় নেই। সেই সঙ্গেই তাদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে রেলের সুরক্ষার দিকেও নজর দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলার রেলের উন্নতি ও সুরক্ষা নিয়েও তাদের বিশেষ নজর নেই। কিন্তু এবার সামনে এসেছে আসল সত্যিটা।
সেখানে দেখা যাচ্ছে দেশের সমস্ত রাজ্যের জন্য রেল বাজেটে যে বরাদ্দ রয়েছে তার মধ্য়ে চতুর্থ স্থানেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ২০২৫ আর্থিক বছরের জন্য যে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে রেলের জন্য কোন রাজ্যে কত বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে তার একটি তালিকা সামনে এসেছে।
উত্তরপ্রদেশ- ১৯,৮৪৮ কোটি টাকা
মহারাষ্ট্র- ১৫,৯৪০ কোটি টাকা
মধ্যপ্রদেশ-১৪,৭৩৮ কোটি টাকা
পশ্চিমবঙ্গ- ১৩,৯৪১ কোটি টাকা
ওড়িশা- ১০,৫৮৬ কোটি টাকা
বিহার-১০,০৩৩ কোটি টাকা
রাজস্থান- ৯,৯৫৯ কোটি টাকা
অন্ধ্রপ্রদেশ- ৯,১৫১ কোটি টাকা
গুজরাট- ৮,৭৪৩ কোটি টাকা
কর্নাটক- ৭,৫৫৯ কোটি টাকা
ঝাড়খণ্ড- ৭,৩০২ কোটি টাকা
ছত্তিশগড়- ৬,৯২২ কোটি টাকা
তামিলনাড়ু- ৬,৩৬২ কোটি টাকা
তেলাঙ্গানা-৫৩৩৬ কোটি টাকা
পাঞ্জাব- ৫১৪৭ কোটি টাকা
উত্তরাখণ্ড- ৫১৩১ কোটি টাকা
জম্মু ও কাশ্মীর-৩,৬৯৪ কোটি টাকা
হরিয়ানা- ৩,৩৮৩ কোটি টাকা
কেরল- ৩০১১ কোটি টাকা
হিমাচল প্রদেশ ২৬৯৮ কোটি টাকা
দিল্লি- ২৫৮২ কোটি টাকা
উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির জন্য বরাদ্দ রেলে- ১০,৩৭৬ কোটি টাকা।
সেক্ষেত্রে এই পরিসংখ্য়ান অনুসারে বাংলার জন্য রেলে বিরাট বরাদ্দ করা হয়েছে বলেই খবর। সেকারণে বাংলার জন্য বঞ্চনা করা হয়েছে বলে যে দাবি করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব সেটা কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
এদিকে এবারের বাজেটে পশ্চিমবঙ্গের জন্য রেকর্ড অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে বলে ইতিমধ্য়েই জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বুধবার তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গের রেলের জন্য ১৩,৯৪১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যা রেকর্ড। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ইউপিএ আমলে পশ্চিমবঙ্গের জন্য গড়ে ৪,৩৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হত, এখন সেটা তিনগুণ বেড়ে গিয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে আপাতত রেলের যে সব কাজ চলছে, সেগুলিতে বিনিয়োগের অঙ্কটা প্রায় ৬০,০০০ কোটি টাকা। 'অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্প'-র আওতায় পশ্চিমবঙ্গে ১০০টি রেল স্টেশনের মানোন্নয়নের কাজ চলছে। যদি ঠিকমতো জমি দেওয়া হয়, তাহলে লাইন ডাবলিং, নয়া লাইন তৈরি, মেট্রোর প্রকল্পের মতো কাজের জন্য টাকা অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে না। পর্যাপ্ত টাকা চলে আসবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রেলমন্ত্রী।