দুর্গাপুজো এসে গিয়েছে। এবার প্রশ্ন বাংলাদেশে কেমন হবে এবারের দুর্গাপুজো। কারণ একটাই বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক টানাপোড়়েন। সূত্রের খবর দুর্গাপুজোর আয়োজন কিছু জায়গায় হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের হিন্দুদের মধ্যে আতঙ্ক যে পুরোপুরি কেটে গিয়েছে এমনটা নয়। বলা ভালো পুজো এলেও বাংলাদেশের হিন্দুদের মধ্যে আতঙ্ক একেবারেই কাটছে না। একাধিক জায়গায় প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাও হয়েছে।
তবে এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস নানাভাবে হিন্দুদের সুরক্ষার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এবার বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান পুজো নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে করার আশ্বাস দিলেন। এমনকী তিনি আশ্বাস দিয়েছেন দুর্গাপুজোয় যাতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় সেকারণে সারা দেশে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
শনিবার বিকালে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন করেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। তিনি নানাভাবে আশ্বাস দেন। গোটা বাংলাদেশ জুড়ে সুরক্ষার স্বার্থে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান বাংলাদেশের সেনা প্রধান।
সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, সবাই যার যা ধর্ম সেটা পালন করবেন। সেজন্য যা কিছু করতে হয় তা আমরা করব। আপনারা নির্ভয়ে পুজোমণ্ডপে যাবেন। পুজো করবেন। আপনাদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা আছে।
এদিকে পুজো এগিয়ে আসতেই বাংলাদেশে নানা ধরনের ঘটনার কথা শোনা যাচ্ছে যা শিউরে ওঠার মতো। একাধিক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে মূর্তি ভাঙার অভিযোগ উঠছে। এমনকী পুজো করতে হলে টাকা দিতে হবে এমন দাবি করেও নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, পুজোকে কেন্দ্র করে আতঙ্কের মধ্যে আছেন বাংলাদেশের সংখ্য়ালঘুরা। তাই এবার পুজো কতটা উৎসবমুখর হবে সেটা বলতে পারব না।
এদিকে বাংলাদেশের ঢাকায় যে রামকৃষ্ণ মিশন রয়েছে সেখানে এবার কুমারী পুজো হবে না। বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির জেরে এবার কুমারী পুজো না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মূলত ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে এবার কুমারী পুজো হবে না। তবে দুর্গাপুজো হবে আগের মতোই।
কিন্তু ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পুজো না হলেও অন্যত্র অর্থাৎ ঢাকার বাইরে মিশনের যে অন্যান্য শাখা রয়েছে সেখানে কুমারী পুজো হবে। অর্থাৎ বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ. কুমিল্লা, বাগেরাহাট সহ বিভিন্ন জায়গায় রামকৃষ্ণ মিশনের শাখা রয়েছে। সেখানে কুমারী পুজো হবে আগের মতোই।
এদিকে এর আগে করোনা পরিস্থিতির সময় ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পুজো স্থগিত করা হয়েছিল। কারণ সেই সময় সংক্রমণ এড়ানোর জন্য দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হয়েছিল। সেকারণে যাতে ভিড় বেশি না হয় সেকারণে কুমারী পুজো বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে এবারও বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে কুমারী পুজো বন্ধের কথা বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের অন্যত্র কেমন দুর্গাপুজো হয় সেটাও দেখার।