মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকার ও বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ-কে নির্দেশ দিয়েছে যাতে বিশৃঙ্খল যাত্রীদের ব্যবহার ঠিক রাখার জন্য গাইডলাইন ঠিক করা হয়। সেই সঙ্গে নতুন কিছু একটা উদ্ভাবন করতে যার মাধ্য়মে এই ধরনের যাত্রীদের কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে।
বিচারপতি বিআর গাভাই, কেভি বিশ্বনাথন ৭৩ বছর বয়সি এক বৃদ্ধার কাছ থেকে আবেদন শুনছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল যে এক পুরুষ সহযাত্রী মদ্যপ অবস্থায় তার গায়ে প্রস্রাব করে দিয়েছিলেন। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে বিষয়টি হয়েছিল বলে তাঁর দাবি। আবেদনকারী কেন্দ্রীয় সরকার, ডিজিসিএ ও বিমান সংস্থার কাছে একটা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর তৈরির জন্য আবেদন করেছিলেন।
বিচারপতিদের বেঞ্চ সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য্য ভাটির কাছে অনুরোধ করেছেন যাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ও আন্তর্জাতিক মান অনুসারে বর্তমানে যে গাইডলাইন রয়েছে সেটাকে যেন উন্নত করে।
বিচারপতি বিশ্বনাথন বলেন, আমাদের একটা সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। দুজন যাত্রী পুরো মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। একজন ওয়াশরুমে গিয়েছিলেন। আর অপরজন ঘুমোচ্ছিলেন। অপরজন বমি করার জন্য ব্যাগ চেয়েছিলেন। ক্রুরা সকলেই ছিলেন মহিলা আর ৩০-৩৫ মিনিট কেউ দরজা খুলতে পারেননি। এরপর ক্রুরা সহযাত্রীদের অনুরোধ করেন যাতে দরজা খুলে তাকে সিটে এনে বসানো হয়। এটা প্রায় ২.৪০ ঘণ্টার ফ্লাইট ছিল।
এদিকে ২০২৩ সালের মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকার, ডাইরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন( DGCA), সমস্ত বিমান সংস্থার কাছে নোটিশ পাঠিয়েছিল যে মহিলা যে পিটিশন করেছেন তার উত্তর দিতে হবে।
এদিকে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে ওই মহিলা জনস্বার্থ মামলা করেন। তাঁর দাবি ছিল যে এয়ার ইন্ডিয়া, ডিজিসিএ যথার্থ যত্নের সঙ্গে তাঁর আবেদন শোনেনি সেকারণে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আসতে বাধ্য হয়েছেন।