আইসিএমআরের আওতায় পুনের ন্যাশনাল ভাইরলজি এবার মাঙ্কিপক্সের ভ্যাকসিন ও গবেষণায় নতুন আশার আলো জোগাল। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের নমুনা থেকে পাওয়া ভাইরাসকে আলাদা রেখে ভ্যাকসিনের লক্ষ্য়ে এগিয়ে যাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠান। বুধবার প্রতিষ্ঠানের তরফে একথা জানানো হয়েছে।
ইতিমধ্যেই ভারতের এই প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ফার্মা সংস্থা, ভ্যাকসিন নির্মাতা, গবেষণা মূলক ফার্মের থেকে এই বিষয়ে ‘এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট’ চেয়েছে। এমনকি ডায়গনস্টিক কিট নির্মাতাদের কাছেও ‘এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট’ চাওয়া হয়েছে। ডাঃ প্রজ্ঞা যাদব, এনআইভি-র একজন সিনিয়র বিজ্ঞানী। তিনি বলেছেন, ভাইরাস বিচ্ছিন্নতার পদক্ষেপ ভারতের অন্যান্য অনেক দিক থেকে গবেষণা ও উন্নয়ন করার ক্ষমতা বাড়ায়। আপাতত ত্বকের নিচে থাকা লেজিয়নের ফ্লুইড ভাইরাস আইসোলেশনের দিক থেকে সাহায্য করে।
এদিক, এই ভ্যাকসিন সংক্রান্ত ‘এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট’ এর নথিতে লেখা রয়েছে, ‘ আইসিএমআর এর কাছে এর ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টির রাইটস অ্যান্ড কমার্শিয়ালাইজেশন সংক্রান্ত যাবতীয় রিজার্ভ রয়েছে।' অর্থাৎ এই ভ্যাকসিন নির্মানের ক্ষেত্রে যাবতীয় অনুমতি আইসিএমরের থেকে নিতে হবে ভারতীয় সংস্থাগুলিকে। ইতিমধ্যেই বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা হু জানিয়েছে মাঙ্কিপক্স বিশ্বজুড়ে একটি বড়সড় উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে। বিশ্বের ৭৫ টি দেশে ১৬০০ জনের দেহে মিলেছে মাঙ্কিপক্সের সন্ধান। মাঙ্কিপক্স সাধারণত জ্বর, ফুসকুড়ি এবং ফোলা লিম্ফ নোডের সাথে নিজেকে প্রকাশ করে এবং বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা জটিলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। এটি সাধারণত একটি স্ব-সীমিত রোগ যার উপসর্গ দুই থেকে চার সপ্তাহ স্থায়ী হয়।