গত নভেম্বর ও ফেব্রুয়ারি মাসে দুটি আলাদা ইন্ডিগো ফ্লাইটে দুটি কাগজের টুকরো উদ্ধার করা হয়েছিল। তাতে বোমার হুঁশিয়ারি করা হয়েছিল। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এই ঘটনার জেরে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তবে ক্রাইম ব্রাঞ্চের তদন্তে উঠে আসছে এই ঘটনার পেছনে কিছু ক্রু ও কয়েকজন সাপোর্ট স্টাফ ছিলেন।
আহমেদাবাদ অপরাধ দমন শাখা বুধবার জানিয়েছিল, ১১ নভেম্বর ও ১০ ফেব্রুয়ারি সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের আন্তর্জাতিক বিমানে বোমা হামলার হুমকির তদন্তে তারা সাফল্য পাবে বলে আশা করছে।
'দুটি হুমকিই ভুয়ো বলে প্রমাণিত হয়েছে। সাম্প্রতিক হুমকির কারণে বিমান সংস্থাগুলির প্রায় ৫০-৬০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আমরা এটি একটি অভ্যন্তরীণ কাজ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। বিমান সংস্থায় কর্মরত কোনও অসন্তুষ্ট ব্যক্তি এর পেছনে থাকতে পারে।
অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ (এসিপি) ক্রাইম ব্রাঞ্চ ভরত প্যাটেল জানিয়েছেন, দুটি ঘটনারই গুরুত্ব বিবেচনা করে ক্রাইম ব্রাঞ্চ তদন্ত শুরু করেছে।
১০ ফেব্রুয়ারি জেদ্দা থেকে আহমেদাবাদগামী একটি ফ্লাইট অবতরণের পর বিমানবন্দরে টিস্যু পেপারের সঙ্গে একটি ইমিগ্রেশন ফর্ম পাওয়া যায়, যাতে লেখা ছিল 'বোমা এখানে'। পরে এটিকে ধাপ্পাবাজি বলে ঘোষণা করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বোমার হুঁশিয়ারির কারণে ১৮০ জন যাত্রীর প্রত্যেকের পাঁচ ঘণ্টার সিকিউরিটি চেক করা হয়, কারণ পুলিশ কর্মকর্তারা হুমকি বার্তাটি পরীক্ষা করার জন্য তাদের কাছ থেকে হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। ভুয়ো বোমা হুমকির ফলে ফ্লাইটটি আট ঘন্টা পর্যন্ত দেরি হয়েছিল এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি সমকালীন ফ্লাইটের সময়কে প্রভাবিত করেছিল।
আমরা দুটি ফ্লাইটের পাইলট, ক্রু সদস্য, যাত্রী, লোডার এবং সাফাই কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আমরা যাত্রী, ক্রু সদস্য এবং অন্যান্য সহায়তাকারী কর্মীদের হাতের লেখার নমুনাও নিয়েছি। কোনও ফ্লাইটের উড়ান এবং অবতরণের আগে স্ট্যান্ডার্ড এসওপি রয়েছে। এটি কোনও যাত্রী বা ক্লিনিং স্টাফ, লোডিং স্টাফ এবং অন্যান্যদের সহ কিছু ক্রু সদস্যের কাজ বলে মনে হচ্ছে। আমরা ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়েছি এবং আশা করছি শিগগিরই এ বিষয়ে সাফল্য পাব। জানিয়েছে পুলিশ।
কর্মীদের কল ডিটেলসও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে এবং ২০২৪ সালের নভেম্বরে আহমেদাবাদ থেকে জেদ্দাগামী ফ্লাইটে লখনউ থেকে সমস্ত সংযোগকারী যাত্রীদের সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি প্রযুক্তিগত তদন্তও করা হয়েছে।
গত ১১ নভেম্বর আহমেদাবাদ থেকে সৌদি আরবের জেদ্দাগামী ইন্ডিগোর বিমানে শৌচাগারের ভেতর থেকে 'বোমা' লেখা একটি কাগজ দেখতে পান এক ক্রু সদস্য।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সে কাজ করেন এমন কোনও অসন্তুষ্ট ব্যক্তি এর পেছনে থাকতে পারে। সন্দেহ এড়াতে তিনি অন্য কাউকে দিয়ে এটা লিখিয়েছিলেন।