আকারে বিশ্বের সবথেকে উঁচু বিল্ডিং বুর্জ খলিফার থেকেও বড়। এমনই এক গ্রহাণু মঙ্গলবার রাতে (ইংরেজি মতে, ১৯ জানুয়ারি) পৃথিবীর ‘গা ঘেঁষে’ বেরিয়ে যেতে পারে। এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা। যে গ্রহাণুকে ‘সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ' (যখন কোনও গ্রহাণু পৃথিবীর ৪.৫৬ মিলিয়ন মাইলের মধ্যে আসে ও ব্যাসার্ধ ৫০০ ফুটের বেশি হয়)।
নাসার তরফে জানানো হয়েছে, ১৯৯৪ পিসিআই১ (1994 PC1) নামে গ্রহাণুটি চওড়ায় প্রায় ১.৬ কিলোমিটার। যা ১৯৯৪ সালের ৯ অগস্ট অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে চিহ্নিত করেছিলেন বিজ্ঞানী রবার্ট ম্যাকনট। সেই গ্রহাণু আজ (মঙ্গলবার) পৃথিবীর গা ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে। ‘গা ঘেঁষে’ হলেও পৃথিবীর অনেকটা দূর থেকেই যাবে সেই গ্রহাণু। টুইটারে নাসার তরফে বলা হয়েছে, ‘মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) আমাদের গ্রহের ১.২ মিলিয়ন মাইল দূর থেকে সুরক্ষিতভাবে বেরিয়ে যাবে ১৯৯৪ পিসিআই১।’
কখন সেই গ্রহাণু পৃথিবীর ১.২ মিলিয়ন মাইল দূর থেকে বেরিয়ে যাবে?
নাসার তরফে জানানো হয়েছে, ইস্টার্ন টাইম (ইটি) অনুযায়ী, বিকেল ৪ টে ৫৩ মিনিটে পৃথিবীর ১.২ মিলিয়ন মাইল দূর থেকে বেরিয়ে যাবে গ্রহাণু ১৯৯৪ পিসিআই১। অর্থাৎ ভারতীয় সময় অনুয়ায়ী, মঙ্গলবার রাত (ইংরেজি মতে, ১৯ জানুয়ারি) রাত ৩ টে ২১ মিনিটে সেই গ্রহাণু পৃথিবীর ১.২ মিলিয়ন মাইল দূর থেকে বেরিয়ে যাবে। সেই দৃশ্য ভালো মানের টেলিস্কোপে দেখা যাবে। ঘণ্টায় সেই গ্রহাণুর গতিবেগ হবে ৪৭,৩৪৪ মাইল।
পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে না
সেই দানবিক গ্রহাণু পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে কিনা, তা নিয়ে নেটিজেনদের একটি মহল উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল। যদিও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। পৃথিবীর যথেষ্ট দূর থেকেই সেই গ্রহাণু অতিক্রম করবে। যদিও আগামী দুই শতকে যে গ্রহাণুগুলি পৃথিবীর সবথেকে কাছ থেকে বেরিয়ে যাবে, সেই তালিকার শীর্ষে আছে ১৯৯৪ পিসিআই১।