বিজেপিকে কার্যত কিছুই করতে হয়নি। বিহার ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরের আগে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল খোদ কংগ্রেস। পরদিনই সেই অস্ত্রের সদ্ব্যবহার করল বিজেপি। জম্মু ও কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনার পক্ষে কংগ্রেস যে সওয়াল করেছে, তা বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের ইস্তাহারে উল্লেখ করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ল গেরুয়া শিবির।
বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর অভিযোগ করেন, বিহার নির্বাচনে ভোটের জন্য ‘সমাজে বিভাজনের’ রাজনীতি করছে কংগ্রেস। একইসঙ্গে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ সুরে কথা বলারও অভিযোগ করেন। জাভড়েকরের দাবি, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারার প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন স্থানীয় মানুষ।
তিনি বলেন, ‘মানুষ দেখেছেন, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে কত উন্নতি হয়েছে। কিন্তু যে কয়েকজন বিচ্ছিন্নতাবাদী আছে ওখানে, তাদের সুরে কংগ্রেস কথা বলছে। কংগ্রেস এখন একটা ছোটো দলে পরিণত হয়েছে। তাই দেশের মানুষের আবেগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে।’
কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে জাভড়েকর অভিযোগ করেন, যে কোনও বিষয়েই কংগ্রেস পাকিস্তান ও চিনের প্রশংসা করে। কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস কি বিহার ভোটে নিজেদের ইস্তাহারে এটার (৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনা) উল্লেখ করতে পারবে? ওঁরা জানেন, সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে সমর্থন করেছেন দেশের মানুষ। কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীও নিজের ভাষণে পাকিস্তানের প্রশংসা করেছেন। যে কোনও বিষয়ই হোক না কেন, উনি পাকিস্তান এবং চিনের গুণগান গাইতে পছন্দ করেন। এটাই কংগ্রেসের দৃষ্টিভঙ্গি।’
রাজনৈতিক মহলের মতে, বিহার ভোটের ঠিক আগে কংগ্রেসের সেই দাবির পর বিজেপি যে ঝাঁপিয়ে পড়বে, তা প্রত্যাশিত ছিল। এমনিতেও কার্যত প্রতি লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে জাতীয়তাবাদী জিগির তুলে তোলার চেষ্টা করে গেরুয়া শিবির। আর বিহারে তো বিজেপির হাতেই কংগ্রেস অস্ত্র তুলে দিল।