দীক্ষা ভরদ্বাজ
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। সেই অ্যাপের মাধ্যমেই তাঁরা অর্থ জমা দিতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনের তরফে এমনই একটি অ্যাপ তৈরির কাজ চলছে বলে ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-কে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
বিহার নির্বাচনের আগে সেই অ্যাপ চালু করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে এই প্রথমবার অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ পাবেন প্রার্থীরা। বিষয়টির সঙ্গে অবহিত এক আধিকারিক বলেছেন, ‘প্রার্থীদের অনলাইন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ করবে সেই অ্যাপ। তবে তা ঐচ্ছিক হবে। কোনও প্রার্থী যদি অফলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান, তাঁদের কোনও বাধা নেই।’
টাকা জমা দেওয়ার জন্য ভিম ইউপিআইয়ের (BHIM UPI) সঙ্গে সেই অ্যাপকে যুক্ত করা হবে। বিধানসভা ভোটে দাঁড়ানোর জন্য জেনারেল ক্যাটেগরির প্রার্থীকে ১০,০০০ টাকা, তফসিলি জাতি এবং উপজাতি প্রার্থীকে ৫,০০০ টাকা জমা দিতে হয়। কোনও প্রার্থী যদি মোট ভোটের ছয় ভাগের এক ভাগ না পান, তাহলে তাঁরা জামানত জব্দ হয়।
তবে বিহারে ভোটর জন্য শুধুমাত্র একটি অ্যাপ ব্যবহার করতে চায় না কমিশন। তথ্য বিশ্লেষণ (রিয়েল-টাইম ডেটা) এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণের আরও একটি অ্যাপ ব্যবহারের বিষয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে। যে অ্যাপটি চলতি বছরের শুরুতে দিল্লি নির্বাচনের ৭০ টি বিধানসভা কেন্দ্রেই ব্যবহৃত হয়েছিল।
ওই আধিকারিক বলেন, ‘প্রতিটি ভোটার স্লিপে একটি করে কিউআর কোড থাকে। যেটি স্ক্যান করে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রত্যেক ঘণ্টার তথ্য দেয় অ্যাপটি।’ তার ফলে কোনও বুথে কতজন ভোট দিয়েছেন, কতজন বাকি আছেন, সেই বিষয়ে দ্রুত তথ্য পেয়ে যায় নির্বাচন কমিশন। ওই আধিকারিক বলেন, ‘এটা ভিড় নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যা এই সময়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।’
ইতিমধ্যে বিহারের নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছে কমিশন। একইসঙ্গে দ্রুত বিভিন্ন কাজকর্মের ডিজিটালাইজেশনের পথেও হাঁটছে তারা। সেজন্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত পরামর্শদাতাদের প্যানেল গঠন করা হয়েছে। রিমোট ভোটিংয়ের (দূর থেকে ভোটিং। যেমন - অন্য কোনও রাজ্যে আছেন, সেখান থেকে নিজের কেন্দ্রে ভোট দিতে পারবেন) বিষয়টি মূল্যায়নের জন্য সেই প্যানেলে আছেন আইআইটি এবং এনআইসির বিশেষজ্ঞরা।