জয় আসবে। তবে ব্যবধান তেমন বেশি হবে না। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে মেরেকেটে ১১-২১ টি আসন বেশি পাবে এনডিএ। ইন্ডিয়া টুডে'র সঙ্গে লোকনীতি-সিএসডিএসের প্রাক-ভোট সমীক্ষায় এমনই ছবি সামনে এল।
সেই সমীক্ষা অনুযায়ী, বিহারে ১৩৩-১৪৩ টি আসন জিততে পারে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। যা ২৪৩ আসন-বিশিষ্ট বিহার বিধানসভার ‘ম্যাজিক ফিগার’-এর (১২২) থেকে তেমন বেশি নয়। গত ১০ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত হওয়া সেই সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, এনডিএ ৩৮ শতাংশ ভোট টানবে। তবে তাদের থেকে খুব একটা পিছিয়ে থাকবে না মহাজোট। ৩২ শতাংশ ভোট-সহ ৮৮-৯৮ টি আসন পেতে পারে রাহুল গান্ধী ও তেজস্বী যাদবদের জোট। এনডিএ জোট ভেঙে বেরিয়ে যাওয়া চিরাগ পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি (এলজেপি) একা লড়ে বড়জোর দুটি থেকে ছ'টি আসনে জয়লাভ করতে পারবে। অর্থাৎ একতরফা লড়াই তো দূর অস্ত, বিহার নির্বাচনে যথেষ্ট বেগ পেতে চলেছে নীতিশ কুমাররা।
একইসঙ্গে নীতিশের জনপ্রিয়তায় লালুপ্রসাদ যাদবের পরিবারের থাবায় বসানোর বিষয়টি বিজেপি ও জেডিইউয়ের গলায় কাঁটা হয়ে বিঁধতে চলেছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১৫ সালেে যেখানে নীতিশের জনপ্রিয়তা ছিল ৪০ শতাংশ, এবার তা ঠেকেছে ৩১ শতাংশে। অন্যদিকে এখনও বিহারের রাজনীতিতে যে লালুর পরিবারের কতটা প্রাসঙ্গিক, তার ইঙ্গিত মিলেছে সমীক্ষায়। সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৫ সালের তুলনায় এবার লালুর পরিবারের জনপ্রিয়তা ন'শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ শতাশ।
সেখানেই অবশ্য নীতিশের অস্বস্তি শেষ হয়নি। সমীক্ষার অনুযায়ী, ৩১ শতাংশ মানুষ নীতিশকে আরও একবার সুযোগ দিতে চান। তবে ২৬ শতাংশ মানুষ একেবারেই উলটো সুরে কথা বলেছেন। ৩৪ শতাংশ মানুষ আবার জানিয়েছেন, বিহারে নয়া নেতার প্রয়োজন আছে।
তবে বিহারে এনডিএয়ের কাছে অনেকটা ভরসা হতে পারে সেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা। যাঁদের নিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল, তাঁদের ৬১ শতাংশই জানিয়েছেন, মোদী সরকারের কাজে খুশি তাঁরা। যিনি ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে বিহার থেকেই একগুচ্ছ প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন।