মহাজোটের প্রার্থীর হয়ে প্রচারের সময় আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে লক্ষ্য করে ছোড়া হল চপ্পল। একটি চপ্পল তাঁর গায়ে না লাগলেও অপরটি লালুপ্রসাদের ছেলের কোলে পড়ে।
আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঔরঙ্গাবাদ জেলার কুটুম্বা জেলায় কংগ্রেস প্রার্থী রাকেশ রামের হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন তেজস্বী। দলীয় কর্মী-নেতাদের স্লোগানের মধ্যে মঞ্চে উঠে ভাষণের আগে বসেছিলেন। সেই সময় জনতার মধ্যে থেকে তাঁর দিকে উড়ে আসে একজোড়া চপ্পল। ভিডিয়োয় দেখা যায়, একটি চপ্পল তেজস্বীর ধারেকাছেও ছিল না। তবে অপরটি তাঁর কোলে পড়ে।
সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ট্রাইসাইকেলে বসে থাকা বিশেষভাবে সক্ষম এক ব্যক্তি সম্ভবত চপ্পল ছুড়েছিলেন। আরজেডির দলীয় নেতা-কর্মী এবং নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ধরে ফেলেন এবং জনসভা থেকে সরিযে দেওয়া হয়। মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর উপর সেই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন আরজেডির মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় তিওয়ারি। নির্বাচনী প্রচারে উপযুক্ত নিরাপত্তার দাবি তুলেছেন তিনি। তবে সেই ঘটনায় তেজস্বীর উপর যেন কোনও প্রভাবই পড়েনি। একেবারে স্বাভাবিকভাবেই ভাষণ দেন তিনি।
তারইমধ্যে বিজেপির প্রতি আক্রমণ জারি রাখেন তেজস্বী। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'যদি আমি অনভিজ্ঞ হই, তাহলে আপনারা (বিজেপি নেতানেত্রী) কেন আমার বিরুদ্ধে পূর্ণশক্তি প্রয়োগ করছেন? এর থেকেই প্রমাণিত হয় যে আপনারা মরিয়া হয়ে উঠেছেন। নীতিশ কুমারের মুখ কি কাজ করছে না? বিজেপি নাকি বিশ্বের সবথেকে বড় দল। কিন্তু তাদের কোনও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নেই।'
জাতপাতের অঙ্ক ও যোগী আদিত্যনাথের প্রভাবের কথা মাথায় রেখে বিহার নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে স্বভাবতই প্রচারে ব্যবহার করছে বিজেপি। তা নিয়ে খোঁচা নিয়ে তেজস্বী বলেন, ‘ওরা (বিজেপি) আমার বিরুদ্ধে পূর্ণশক্তি প্রয়োগ করছে এবং আমি একা। ওরা আমায় অনভিজ্ঞ বলে। কিন্তু আমি বিধায়ক, বিরোধী দলনেতা হয়েছি। একইসঙ্গে উপ-মুখ্যমন্ত্রিত্বের দায়িত্বও সামলেছি। আমার পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা ৫০ বছরের সমান।’