শনিবার বিহার বিধানসভা নির্বাচনের তৃতীয় তথা চূড়ান্ত দফার ভোটদান পর্ব শুরু হয়েছে। এই দফায় মোট ৭৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। কিন্তু দ্বিতীয় দফার মতোই তৃতীয় দফাতেও মানুষের ভোট দিতে গিয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে কি? বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে প্রশাসনকে।
অভিযোগ, গত দফায় ভোটার লিস্টে নাম খুঁজে পাননি অনেক ভোটার। এই সমস্যায় পড়ে অনেকেই ভোটার লিস্টে নিজেদের নাম খুঁজতে চেষ্টা করেন। সেখানে গিয়ে দেখেন মৃত ভোটারদের তালিকায় তাঁদের নাম রয়েছে। এই নিয়ে সরগরম হয়েছে পটনার বিহারি ভোট পর্ব যার জেরে দেখা গিয়েছে প্রবল গণ্ডগোল।
অভিযোগ, ভোটিং স্লিপে অনেকের লিঙ্গ পরিবর্তন করেও দেওয়া হয়েছে। কারও আবার বাবাকে স্বামী বানিয়ে দেওয়া হয়েছে ভোটিং স্লিপে। ভোটারের ছবি পর্যন্ত পাল্টে গিয়েছে। ভোটার শম্ভুনাথ ঝায়ের দাবি, তাঁর মায়ের নাম মৃত তালিকায় রেখে দেওয়া হয়েছে। যা ভোট দিতে গিয়ে জানা গিয়েছে। যার ফলে তীব্র সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে।
এমনকী যাঁর বাবা বেঁচে নেই, তাঁর কাছে পৌঁছেছে বাবার ভোটার স্লিপ। কয়েকজন ভোটারের অভিযোগ, গোটা পরিবার ভোটার স্লিপ পেলেও তাঁরাদের নামে ভোটার স্পালিপ আসেনি।
আর একজন বলেছেন, তাঁর স্ত্রীয়ের ভোটার স্লিপে প্রবীণ নাগরিকের ছবি বসানো রয়েছে। একজন মহিলা ভোটারের অভিযোগ, তাঁর বাবা মারা গিয়েছেন বহু বছর আগে। তাঁর নাম মহিলার স্বামীর নামের জায়গায় বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনাগুলি সামনে নিয়ে আসা হয় ভোটকেন্দ্রে থাকা বিএলও’র কাছে। তিনি জানান, বহু সমস্যার কথা তিনি শুনেছেন। বহু অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। কিন্তু এখন কিছু করা সম্ভব নয়। ভোটার স্লিপ তৈরি হয়ে এসেছে জেলা নির্বাচন দফতর থেকে। তবে ভোটারদের সাহায্য করার চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে তাঁরা ভোট দিতে পারেন।
আগামী পাঁচ বছর বিহারে ক্ষমতার সিংহাসন ধরে রাখতে মরিয়া নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটে শামিল রয়েছে বিজেপি, জেডি(ইউ), হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা–সেকুলার ও বিকাশশীল ইনসান পার্টি। কিন্তু এই সমস্যা যদি ভোটারদেরই হয় তাহলে নীতীশ কুমারের শেষ নির্বাচন কী সফল হবে? উঠছে প্রশ্ন।