বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোটদানের হার সব রাজনৈতিক পন্ডিতদের ভুল প্রমাণিত করেছে। রবিবার এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এ দিন সকালে ছাপরার প্রচারসভায় তিনি বলেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটে সাফ বোঝা গিয়েছে যে, এনডিএ ফের ক্ষমতায় ফিরছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু মানুষ এনডিএ-র প্রতি আপনাদের এই ভালোবাসা সুনজরে দেখছেন না। বিহার নির্বাচনে ভোটের ট্রেন্ড এনডিএ-র জয়ের যে আভাস ইতিমধ্যে দিয়েছে, তাতে তাঁরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তাই তাঁরা মোদীকে গালাগালি দিচ্ছেন। কিন্তু তার জন্য বিহারের মানুষের উপর ক্রোধ প্রকাশ করবেন না।’
নমো বলেন, ‘একদিকে আপনাদের জোড়া ইঞ্জিনের ক্ষমতা সম্পন্ন সরকার রয়েছে, অন্য দিকে রাজ্যে এখনদুই রাজকুমার। জোড়া ইঞ্জিনের সরকার যখন বিহারের উন্নয়নের জন্য দায়বদ্ধ, সেই সময় দুই রাজকুমার তাঁদের সিংহাসন বাঁচাতে ব্যস্ত। এই দুই রাজকুমার উত্তর প্রদেশে অনেক কষ্ট পেয়েছেন। এখানেও একই ভাগ্য তাঁদের অপেক্ষায় রয়েছে।’
এ দিনের সভায় মোদী আশ্বাস দেন যে, কোভিড অতিমারী চিকিৎসায় গরিবের পাশেই আছে তাঁর সরকার। তাঁর মতে, গোটা আমেরিকার মোট জনসংখ্যার চেয়ে বেশি ভারতে দরিদ্রের সংখ্যা। কোভিড সংকটের সময় তাঁদের বিনামূল্যে খাদ্য পৌঁছে দিয়েছে এনডিএ সরকার, দাবি প্রধানমন্ত্রীর।
এরই পাশাপাশি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের সমালোচনা করে মোদী বলেন,’যাঁরা শুধু নিজের পরিবার সম্পর্কেই ভাবে, তাঁরা দরিদ্রের কথা চিন্তা করেন না। মনে রাখবেন, লণ্ঠনে শুধু অন্ধকারই ছড়ায়।’
স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে নমো বলেন, ‘বিহারের মায়েদের বলছি, দিল্লিবাসী আপনার ছেলে গর্বের সঙ্গে ছটপুজো পালন করা নিশ্চিত করবে। ভুখা পেটে রাতে আপনার পরিবারকে আমি ঘুমোতে দেব না। ছটপুজো পর্যন্ত দরিদ্রজনকে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে।’
একই সঙ্গে বিহারের উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে গঙ্গা, কোশি ও রাজ্যের অন্যান্য নদীর উপরে সেতু নির্মাণকরা হয়েছে বলেও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তা ছাড়া রাজ্যজুড়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা, পানীয় জল, সড়ক নির্মাণ এবং ২,৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একাধিক রেল প্রকল্পের কাজেও হাতদিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, জানিয়েছেন মোদী। এ বাদে গোপালগঞ্জ-সহ একাধিক জায়গায় পাসপোর্ট অফিসও খোলা হয়েছে, জানিয়েছেন তিনি। ভাষা সমস্যা সমাধানে সর্বত্র মাতৃভাষায় যোগাযোগের সুবিধাও দেওয়া হয়েছে।
ভাষণে এ দিন বিরোধীদের একহাত নিয়ে নমো বলেন, সশস্ত্র বাাহিনীর মনোবল ভাঙার চেষ্টায় পুলওয়ামা হামলা নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে।