বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Cough syrup: কাশির সিরাপ নিয়ে হু -এর বার্তার পর বিহারে নিষিদ্ধ ৪ ওষুধ, কড়া পদক্ষেপ মধ্যপ্রদেশে

Cough syrup: কাশির সিরাপ নিয়ে হু -এর বার্তার পর বিহারে নিষিদ্ধ ৪ ওষুধ, কড়া পদক্ষেপ মধ্যপ্রদেশে

কাশির ওষুধ নিয়ে বিতর্ক (Representative image) (HT_PRINT)

পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে ইতিমধ্যেই ওই সিরাপের নমুনা পরীক্ষা করে দেখতে বলা হয়েছে। হরিয়ানার সোনেপতে নির্মিত ওই কাশির সিরাপ, প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন, কফেক্সমালিন বেবি কাফ সিরাপ, মেকফ বেবি কাফ সিরাপ, মাগরিপ এন কোল্ড সিরাপের সঙ্গে আফ্রিকার শিশুমৃত্যুর ঘটনার যোগ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

হরিয়ানার সোনেপতের মেডেন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের তৈরি চারটি কাশির সিরাপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা হু। ওষুধ ঘিরে আফ্রিকার গ্যাম্বিয়ায় ৬৬ জন শিশু মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই সেন্ট্রাড ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। এদিকে ওই ৪ ওষুধ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল বিহার। মধ্যপ্রদেশের তরফে জারি করা হয়েছে অ্যাডভাইসারি।

পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে ইতিমধ্যেই ওই সিরাপের নমুনা পরীক্ষা করে দেখতে বলা হয়েছে। হরিয়ানার সোনেপতে নির্মিত ওই কাশির সিরাপ, প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন, কফেক্সমালিন বেবি কাফ সিরাপ, মেকফ বেবি কাফ সিরাপ, মাগরিপ এন কোল্ড সিরাপের সঙ্গে আফ্রিকার শিশুমৃত্যুর ঘটনার যোগ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আর ওই চার সিরাপই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বিহার। এদিকে, মধ্য প্রদেশ জানিয়েছে যে, এই চারটি ওষুধই আগে ভোপালের ল্যাবোরেটারিতে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। মধ্যপ্রদেশের সমস্ত জেলায় এই ওষুধ নিয়ে সতর্কতা জারি হয়েছে। এদিকে, কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে যে, যে চারটি সিরাপের নাম উঠে আসছে, তার কোনওটিই ভারতে বিক্রি হয়নি, তা বিদেশে রপ্তানির জন্যই তৈরি হয়েছিল। কেন্দ্র এও জানিয়েছে যে এই ওষুধ খেয়ে কোনও শিশুর মৃত্যু হয়েছে কি না, তার কোনও পোক্ত প্রমাণ নেই। বলা হচ্ছে, এই ওষুধগুলির সঙ্গে কিডনি জনিত রোগ সম্পর্কিত রয়েছে। বাবা যখন 'বস'! এমনটা হলে কী ঘটতে পারে তা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন এই পাইলট?

এদিকে, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা হু সব কয়টি দেশকে এই ওষুধ নিয়ে সতর্ক করেছে। হু বলছে, যাতে রোগীদের ভবিষ্যতে আর সমস্যা না হয়, তার জন্য এই ওষুধ যেন দেওয়া না হয় রোগীদের। এই ড্রাগের নমুনা সংগ্রহ করে তার সঠিক যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। ইথিলিন ক্যালে ও ডাইথিলিন গ্লাইকোলের নির্দিষ্ট সীমা লঙ্ঘন করে এগিয়ে গিয়েছে এই ওষুধ। যার জেরে রোগীদের স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এই ওষুধ বিক্রি হচ্ছে কি না, তার দিকে কড়া নজর রয়েছে মধ্যপ্রদেশ প্রশাসনের। এই ওষুধ নিজের প্রশাসনিক এলাকায় সংশ্লিষ্ট দফতরের কোনও সরকারি অফিসার খুঁজে পেলেই তা পরীক্ষার জন্য পাঠাতে বলা হয়েছে মধ্যপ্রদেশের প্রশাসনের তরফে।

 

বন্ধ করুন