বিজয় স্বরূপ
বিহারে বিজেপির হাত ছেড়ে আরজেডির সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার তৈরি করেছেন নীতীশ কুমার। এবার নীতীশের বিরুদ্ধে বিহারে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিল বিজেপি। পাশাপাশি ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল তৈরি করতেও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে মিটিংয়ে বসেছিলেন নেতৃত্ব।
সূত্রের খবর, বিহারে দলের খোলনলচে একেবারে বদলে ফেলার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। বিজেপি নেতৃত্বের কাছে খবর এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়ন পরিকল্পনার প্রতি বিহারের সাধারণ মানুষের আগ্রহ রয়েছে। তবে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের প্রতি একেবারে সন্তুষ্ট নন সাধারণ মানুষ। সেক্ষেত্রে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দলের রাজ্য সভাপতির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এরপরই বিহারে দলের রাজ্য সভাপতির পদে অন্য কাউকে আনা হতে পারে। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা হিসাবেও আরও শক্তিশালী কাউকে বাছা হতে পারে।
এদিকে জেডিইউর কৌশলী চালে আচমকাই বিরোধী আসনে চলে গিয়েছে বিজেপি। এবার চাচা-ভাতিজার সরকারকে চাপে রাখতে বিরোধী দলনেতার ভূমিকাকে আরও শক্তিশালী করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গেই দলের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিহারে একাধিক সম্প্রদায়ের কাছে এখনও পৌঁছাতে পারেননি বিজেপি নেতৃত্ব। সেই কাজটি সম্পূর্ণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এক বিজেপি নেতৃত্বের মতে, জেডিইউর প্রধান ভোট ব্যাঙ্ক মহাদলিতদের মধ্যে এবার প্রভাব বিস্তার করতে পারবে বিজেপি। তবে এর বাইরেও এতদিন যাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি তাঁদের কাছেও পৌঁছতে চাইছে দল।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি ডঃ সঞ্জয় জয়সওয়াল জানিয়েছেন, বিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।বিহারে লালুরাজকে ফিরিয়ে আনার জন্য় জোট করা হয়েছে। আগামী লোকসভায় আমরা ৩৫টির বেশি আসনে জিতব। নীতীশ কুমারের বিশ্বাসঘাতকতার কথা আমরা জনগণকে বলব।